ফারুকীকে অভিনন্দন জানিয়ে যা বললেন তিশা
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর এই নির্মাতাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও তার স্ত্রী অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। ছবি: চরকি
বিনোদন ডেস্ক:
রোববার (১০ নভেম্বর) উপদেষ্টা ফারুকীকে অভিনন্দন জানাতে শপথ অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও শেয়ার করেছন স্ত্রী তিশা। পোস্টে তিশা লিখেছেন, নতুন পথচলার জন্য তোমাকে অভিনন্দন।আলহামদুলিল্লাহ তিশা ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফারুকীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে অনেকে তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। নির্মাতা স্বপন আহমেদ, নির্মাতা খিজির হায়াত খান, নির্মাতা রাশীদ পলাশ, নির্মাতা গৌতম কৈরী, সংগীতশিল্পী এলিটাসহ অনেকে ফারুকীকে অভিনন্দন জানান।
এর আগে বঙ্গভবনে শপথ নিতে কালো রঙের পাঞ্জাবি, পায়জামা আর ক্যাপ পরে গিয়েছিলেন ফারুকী। সঙ্গে তিশাও ছিলেন। শপথ বাক্য পাফ করার পর নিজের অনুভূতি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করেন ফারুকী। তিনি বলেন, এটা আমার জন্য একটি অভাবনীয় অভিজ্ঞতা। আমি কখনো ভাবিনি কোনো সরকারি পদ বা চেয়ারে বসবো। তবে ‘প্রফেসর ইউনূসের কলিগ হওয়া খুবই লোভনীয় বিষয়, ‘না’ বলাটাই মুশকিল। আমি আশা করি, যে কদিন কাজ করবো, কিছু পরিবর্তন ঘটাতে পারবো। পরিবর্তন ঘটাতে পারলেই আমি যে উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছি, তা সফল হবে। আর আমি যদি আমার কাজে কোনো ভুল করি, সবার কাছে আমার একই বক্তব্য, আমার ভুল আমাকে ধরিয়ে দেবেন। এটা মেনে নিয়েই খুশি হব’ বলেও জানান এ উপদেষ্টা।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সঙ্গে আরও দুইজন শপথ নিয়েছেন। তারা হলেন উদ্যোক্তা শেখ বশীরউদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। সংস্কৃতি উপদেষ্টা হলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এ খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই শুভকামনা জানাচ্ছেন এই জনপ্রিয় পরিচালককে ।
উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর শুভেচ্ছায় ভাসছেন উপদেষ্টা ফারুকী। গত রোববার বঙ্গভবনে শপথ অনুষ্ঠানে ফারুকীর সঙ্গী হয়েছিলেন স্ত্রী অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। উপদেষ্টা হিসেবে স্বামীর শপথ গ্রহণের মুহূর্তের ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করে তিশা লিখেছেন, ‘নতুন পথচলার জন্য তোমাকে অভিনন্দন। আলহামদুলিল্লাহ। সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করা নির্মাতা খিজির হায়াত খান লিখেছেন, ‘যাক, অবশেষে একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা উপদেষ্টামণ্ডলীতে স্থান পেলেন। আপনার নতুন পথচলায় শুভকামনা ফারুকী ভাই।’
নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীও তার সহকর্মীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, 'অভিনন্দন, ফারুকী ভাই।' আরেক নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহও নবনিযুক্ত উপদেষ্টাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দেশের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেতা ইমতু রাতিশ ফারুকীর কাছে প্রত্যাশা রেখে লিখেছেন, 'প্রিয় ফারুকী ভাই, সামনে দেখব করো কি।' সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা পার্থ বড়ুয়া লিখেছেন, 'অভিনন্দন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।'
অভিনেতা আহসান কবির ফারুকীকে অভিনন্দন জানিয়ে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, 'প্রিয় থেকে মাননীয় কিংবা শনিবার বিকেল থেকে আজ রবিবার সন্ধ্যায়। আশা করি, আপনি আপনার অবস্থান থেকে সরে আসবেন না। শুভকামনা ও প্রার্থনা রইলো। আপনাকে অভিনন্দন জানাই, ভালোবাসা চিরজীবী হোক।
নির্মাতা ও সাংবাদিক শামীম শাহেদ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, 'ভাবতেই ভালো লাগছে! অভিনন্দন সরয়ার ভাই।' পরিচালক মাতিয়া বানু শুকু লিখেছেন, ‘অভিনন্দন সরয়ার, ভালো কিছুর অপেক্ষায়।’ পরিচালক রাশীদ পলাশও শুভ কামনা জানিয়েছেন ফারুকীকে। গায়িকা এলিটা করিম লেখেন, ‘অভিনন্দন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ভাই। নতুন কালচারাল উপদেষ্টা।’ জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও সংগীতশিল্পী তাশরিফ খান তার পোস্টে লিখেছেন, 'শান্তি শান্তি।'
গত সেপ্টেম্বরে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নতুন নির্বাহী পরিচালক করা হয়েছে লেখক ও গীতিকার লতিফুল ইসলাম শিবলীকে। ফারুকীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘অভিনন্দন ভাই আমার। এখন আমাদের দেশের সেবা করার সময়। ইনশাআল্লাহ অনেক দূর যেতে হবে। মাসখানেক আগে উপদেষ্টা হতে চেয়ে ব্যাঙ্গাত্মক ঢংয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ফারুকী। লিখেছিলেন, 'আমাকে উপদেষ্টা করা এখন সময়ের দাবি।' সেই স্ট্যাটাসটিও নেটিজেনদের অনেকেই ভাগাভাগি করেছেন ফেসবুকে। কেউ লিখেছেন, ‘উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন, এবার স্বপ্ন পূরণ হলো।’ আবার কেউবা লিখেছেন, ‘অবশেষে উপদেষ্টা হওয়ার ইচ্ছার মূল্য পেলেন ফারুকী।’
এর আগে বঙ্গভবনে শপথ নিতে কালো রঙের পাঞ্জাবি, পায়জামা আর ক্যাপ পরে গিয়েছিলেন ফারুকী। সঙ্গে তিশাও ছিলেন। শপথ বাক্য পাফ করার পর নিজের অনুভূতি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করেন ফারুকী। তিনি বলেন, এটা আমার জন্য একটি অভাবনীয় অভিজ্ঞতা। আমি কখনো ভাবিনি কোনো সরকারি পদ বা চেয়ারে বসবো। তবে ‘প্রফেসর ইউনূসের কলিগ হওয়া খুবই লোভনীয় বিষয়, ‘না’ বলাটাই মুশকিল। আমি আশা করি, যে কদিন কাজ করবো, কিছু পরিবর্তন ঘটাতে পারবো। পরিবর্তন ঘটাতে পারলেই আমি যে উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছি, তা সফল হবে। আর আমি যদি আমার কাজে কোনো ভুল করি, সবার কাছে আমার একই বক্তব্য, আমার ভুল আমাকে ধরিয়ে দেবেন। এটা মেনে নিয়েই খুশি হব’ বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা ফারুকী।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সঙ্গে আরও দুইজন শপথ নিয়েছেন। তারা হলেন উদ্যোক্তা শেখ বশীরউদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। প্রফেসর ইউনূসের কলিগ হওয়া খুবই লোভনীয় বিষয়: ফারুকী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শপথ গ্রহণ করেই চলচ্চিত্রাঙ্গনের জন্য আশার বাণী শুনিয়েছেন এ জনপ্রিয় নির্মাতা।
বঙ্গভবনে নিজের অভিব্যক্তি জানাচ্ছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে শপথ নেন ফারুকী। এরআগে, সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে বহনকারী গাড়ি বঙ্গভবনে প্রবেশ করে। শুটিং শেষ করে স্ত্রী অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশাকে নিয়ে বঙ্গভবনে ঢোকেন ফারুকী। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান। শপথ বাক্য পাফ করার পর নিজের অনুভুতি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করেন ফারুকী। বলেন,
এটা আমার জন্য একটি অভাবনীয় অভিজ্ঞতা। আমি কখনো ভাবিনি কোনো সরকারি পদ বা চেয়ারে বসবো। ফারুকী আরও বলেন, তবে প্রফেসর ইউনূসের কলিগ হওয়া খুবই লোভনীয় বিষয়, ‘না’ বলাটাই মুশকিল। আমি আশা করি, যে কদিন কাজ করবো, কিছু পরিবর্তন ঘটাতে পারবো। পরিবর্তন ঘটাতে পারলেই আমি যে উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছি, তা সফল হবে। আর আমি যদি আমার কাজে কোনো ভুল করি, সবার কাছে আমার একই বক্তব্য, আমার ভুল আমাকে ধরিয়ে দেবেন। আমি এটা মেনে নিয়ে খুশি হবো।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সঙ্গে আরও দুইজন শপথ নিয়েছেন। তারা হলেন উদ্যোক্তা শেখ বশীরউদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। তবে চিকিৎসক অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমানকে বাদ দিয়ে রোববার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে তিনজনকে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।