রাষ্ট্রপতির থাকা না থাকা সাংবিধানিক বিষয় নয়, এখন এটি রাজনৈতিক বিষয়: নাহিদ ইসলাম
“রাষ্ট্রপতির থাকা না থাকা সাংবিধানিক বিষয় নয়, এখন এটি রাজনৈতিক বিষয়” বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ বুধবার সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সকলেই জানি, একটি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সমর্থনে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সেইসময় বিদ্যমান সংবিধান ও রাষ্ট্রপতিকে রেখেই সরকার গঠন করেছিলাম।”
“কিন্তু আমাদের যদি মনে হয়, এই সেট-আপে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে অথবা জনগণ এই সেট-আপে অসন্তুষ্ট, তাহলে এই সেট-আপ নিয়ে আমরা ভাববো।”
রাষ্ট্রপতি নিয়ে চলমান বিতর্ক নিয়ে তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্রপতি থাকবেন কি থাকবেন না, এ প্রশ্নটি এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনও আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়। এটা একেবারেই একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।”
তাই, “রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে” এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি। বিভিন্ন অংশীজনদের সাথে সেই আলোচনা ইতোমধ্যে চলছে বলেও তিনি জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত আসবে।
মি. ইসলাম আরও বলেন যে রাষ্ট্রপতি বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকার “রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা”, এই তিনটি বিষয়কে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এটি-ই আমাদের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রায়োরিটি।”
সাবেক সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র সংক্রান্ত ইস্যুকে ঘিরে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চাইছেন অনেকেই। গতকাল দুপুর থেকে রাতভর এ নিয়ে বিক্ষোভও হয়েছে।
তথ্য উপদেষ্টা সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “বঙ্গভবন বা অন্য কোথাও বিক্ষোভের প্রয়োজন নেই। জনগণের মেসেজ আমরা পেয়েছি।”
তিনি এখন সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন যে বর্তমানে নানা ধরনের “দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে”। সেই ষড়যন্ত্রকারীরা যেন কোনও সুবিধা নিতে পারে, সে বিষয়ে সাবধান করেন তিনি।
এ নিয়ে আরও পড়তে পারেন বিবিসি বাংলার এই প্রতিবেদনে সরকার কি চাইলে এখন রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দিতে পারে?