ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে অনেক বেশি প্রস্তুত এবং একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ নিয়ে এগোচ্ছেন। রবিবার আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানের একটি পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে মোদি এই মন্তব্য করেন।
মার্কিন শুল্ক ও বাণিজ্য চুক্তি
আগামী এপ্রিল থেকে ওয়াশিংটনের নতুন শুল্ক নীতির কারণে ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশ বাণিজ্য সংকটে পড়তে পারে, যা ভারতের গাড়ি নির্মাণ ও কৃষি শিল্পের রপ্তানিকারকদের জন্য উদ্বেগজনক।
গত মাসে মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকের পর, উভয় দেশ বাণিজ্য সম্পর্কিত শুল্ক সমস্যা সমাধান করতে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে একটি প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এছাড়াও, ২০৩০ সালের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মোদি বলেন, "এবার তিনি (ট্রাম্প) আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রস্তুত। তার একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ রয়েছে এবং প্রতিটি পদক্ষেপ সুসংগঠিতভাবে পরিকল্পিত, যা তাকে তার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।"
পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে মোদি ট্রাম্পের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং বলেন, "ট্রাম্পের 'আমেরিকা ফার্স্ট' নীতির প্রতিফলনে বিশ্বাসী, তেমনি আমি 'ভারত ফার্স্ট' নীতিতে বিশ্বাসী। এ কারণেই আমাদের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া -ভালো বন্ধুত্ব ।
চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক
চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উন্নতির বিষয়ে মোদি বলেন, ২০২৩ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনার পর দুই দেশ তাদের হিমালয় সীমান্তের সামরিক উত্তেজনা কমানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে পৌঁছায়।
তিনি বলেন, "ধীরে ধীরে বিশ্বাস, উদ্দীপনা এবং শক্তি ফিরে আসবে। তবে এটি কিছুটা সময় নেবে, কারণ গত পাঁচ বছরে আমাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে।"
অন্যদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মোদি বলেন, "প্রতিটি শান্তি প্রচেষ্টা শত্রুতা এবং বিশ্বাসঘাতকতার মুখে পড়েছে। তবে আমরা আশাবাদী যে তারা জ্ঞানত শান্তির পথ বেছে নেবে।"
মোদি-ট্রাম্প সম্পর্কের ইতিবাচক দিক এবং চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের প্রসঙ্গ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।