চিফ রিপোর্টার:
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের কুচাইপট্টি ইউনিয়নে পুরাতণ লোহার ব্রিজের ২ হাজার কেজি মালামাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে সাবেক যুবদল নেতা রহমান হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ সরকারি অনুমতি বা টেন্ডার ছাড়াই গোপনে ট্রলার ভরে ২ হাজার কেজি লোহা নিয়ে যায় রহমান হাওলাদার ও উজ্জ্বল চৌকিদার ও ইমরান মুন্সী।
রহমান হাওলাদার হলেন কুচাইপট্টি ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইমরান মুন্সী কুচাইপট্টি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিএনপি নেতা ইমরান মুন্সীর নেতৃত্বে যুবদল নেতা রহমান হাওলাদার ও উজ্জ্বল মিলে গত ১৫ দিন আগেই মূলগাও গ্রামের একটি পুরাতণ ব্রিজের লোহার মালামাল নিয়ে মোস্তফা মুতাইতের ট্রলারে করে নিয়ে যায়। তার পাশেই একটি নতুন ব্রিজ নির্মান কাজ চলমান রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলাকাবাসীর স্বার্থে এই এলাকার অর্ধশত বাড়ির যাতায়াতের জন্য একটি ব্রিজ প্রয়োজন। এলজিইডি কর্মকর্তার অনুরোধে পুরাতণ ব্রিজের লোহার মালামাল দিয়ে সেই খানে ব্রিজ করে ফেলতে বলা হয়। তবে সরকারি নির্দেশ ছাড়াই তারা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে প্রায় ২ হাজার কেজি লোহা নিয়ে বিক্রি করে ফেলে। সেখান থেকে স্থানীয় কুচাইপট্টি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নজরুর মুতাইতের কাছে ১৯৪ কেজি লোহা বিক্রি করে। এ নিয়ে ওই এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
লুটকৃত মাল ক্রেতা নজরুল মুতাইত বলেন, আমি টাকা দিয়ে রহমান ও উজ্জলের থেকে ১৯৪ কেজি লোহার মালামাল কিনেছি। ইমরান মুন্সী বলেছে তার কাছে সরকারি অকশনের কাগজ রয়েছে। তাই মূলত আমি এই মালামাল কিনেছিলাম।
ট্রলারের মালামাল নেয়ার সহযোগী লেবার হযরত আলী সরকার বলেন, আমাকে রহমান হাওলাদার মজুরী দিয়েছে আমি ব্রিজের লোহার মালামাল নিতে সহযোগীতা করেছি। প্রায় ২ হাজার কেজির উপরে লোহা নিয়েছে সেদিন।
ইমরান মুন্সী বলেন, ভাই বিষয়টা নিয়ে নিউজ করার দরকার নেই। আমি রহমানের সাথে আলাপ করে বিষয়টা আমি দেখতাছি। এ ব্যাপারে রহমান হাওলাদার কে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দ্রুত পুরাতণ ব্রিজের মালামালগুলি উদ্ধার করে ওই এলাকায় সাঁকোর পরিবর্তে একটি ব্রিজ করিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান।