গত বুধবার হোয়াইট হাউসে এক প্রেস কনফারেন্সে নতুন ট্যারিফ ঘোষণা করেছেন, যার মধ্যে তিনি সমস্ত আমদানিকৃত গাড়ির উপর ২৫% ট্যারিফ আরোপ করবেন, যা পূর্বে ছিল মাত্র ২.৫%। ট্রাম্প জানিয়েছেন যে এই ট্যারিফ আগামী ২ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে এবং তার প্রতিপক্ষ ট্যারিফ পরিকল্পনাও ওই সময়ের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ট্যারিফকে একটি ট্যাক্স রাজস্ব আনার উপায় হিসেবে দেখছেন, যা তার পরিকল্পিত কর ছাঁটাই এবং দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, এই ট্যারিফের মাধ্যমে অনেক নতুন অটোমোবাইল প্ল্যান্ট তৈরি হবে এবং বিপুলসংখ্যক লোক চাকরি পাবে। তবে, ট্রাম্পের এই পরিকল্পনায় বিভিন্ন অটোমেকারদের প্রতিক্রিয়া মিশ্রিত ছিল। যারা ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছে তারা খুশি, কিন্তু যারা কারখানা প্রতিষ্ঠা করেনি তাদের জন্য এটা চাপ হয়ে আসবে।
কানাডার সরকারও পাল্টা ট্যারিফ আরোপ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী ডগ ফোর্ড এক টুইট বার্তায় বলেছেন, "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২৫% ট্যারিফ কোনো কাজের হবে না, এটি কেবলমাত্র কঠোর পরিশ্রমী আমেরিকান পরিবারের জন্য খরচ বাড়াবে।" অটো ইন্ডাস্ট্রি গ্রুপগুলোর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এই ট্যারিফ গাড়ির দাম কয়েক হাজার ডলার বাড়াতে পারে, যা অটোমেকারদের উৎপাদন কমাতে এবং চাকরি কমাতে বাধ্য করতে পারে।
গত বছরে যুক্তরাষ্ট্র ৪৭৪ বিলিয়ন ডলারের অটোমোবাইল পণ্য আমদানি করেছে, যার মধ্যে ২২০ বিলিয়ন ডলারের ব্যক্তিগত গাড়ি ছিল। এই বিশাল আমদানির প্রধান সরবরাহকারীরা হল মেক্সিকো, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা এবং জার্মানি। Cox Automotive এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যদি কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে আমদানির জন্য কোনো ট্যারিফ কাটা না হয়, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি গাড়ির দাম প্রায় ৩,০০০ ডলার বাড়তে পারে, এবং কানাডা বা মেক্সিকোতে তৈরি গাড়ির দাম বেড়ে ৬,০০০ ডলার হতে পারে।
অটোমোবাইল শিল্প বিশ্লেষকরা বলেছেন, এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে উত্তর আমেরিকার গাড়ি উৎপাদনে বিশাল বিঘ্ন সৃষ্টি হবে, যার ফলে প্রতিদিন প্রায় ২০,০০০ কম গাড়ি উৎপাদিত হবে এবং উৎপাদন প্রায় ৩০% কমে যেতে পারে। "যদি এই ট্যারিফগুলো চলতে থাকে, তবে দীর্ঘমেয়াদে বিক্রয় কমবে, নতুন এবং ব্যবহৃত গাড়ির দাম বেড়ে যাবে এবং কিছু মডেল বাতিল হতে পারে," Cox-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ জনাথন স্মোক বলেন।
এই ট্যারিফের প্রভাব মার্কিন শেয়ার বাজারেও পড়েছে, যেখানে S&P 500 ১.১২% কমেছে, এবং অটোমেকারদের শেয়ারও নেমে এসেছে। টেসলা ৫.৬% এবং জেনারেল মোটর্স ৩.১% কমেছে।
এটি একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে, বিশেষ করে আপনার মতো যারা ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের মধ্যে কাজ করছেন, কারণ এই ধরণের অর্থনৈতিক পরিবর্তন অনেক কোম্পানির ব্যবসা এবং উৎপাদন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।