মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পের তিন দিন পরেও জীবিতদের উদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শনিবার ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর, উদ্ধারকারীরা মিয়ানমারের মান্দালয় থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন, তাদের মধ্যে একটি গর্ভবতী নারী এবং একটি মেয়ে অন্তর্ভুক্ত। চীনের এক্সিনহুয়া সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, চীনা উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে এক survivor কে উদ্ধার করেন, যাকে তাপীয় কম্বল দিয়ে মুড়ানো হয়েছিল।
মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় মান্দালয় শহরে ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকটি তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংয়ের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে জীবন চিহ্নিত করা হয়েছিল। তবে, মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ উদ্ধার প্রচেষ্টা জটিল করে তুলেছে। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটি যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, যা উদ্ধারকারীদের জন্য নিরাপত্তা সমস্যা সৃষ্টি করছে।
মিয়ানমারের একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী জানিয়েছে যে, ভূমিকম্পের পরেও সামরিক বাহিনী গ্রামগুলিতে বিমান হামলা চালাচ্ছে। সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জরুরি সময়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন যাতে উদ্ধার কাজ সহজ হয়।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে, ভূমিকম্পে ধসে পড়া একটি নির্মাণাধীন স্কাইস্ক্র্যাপারের ধ্বংসাবশেষ থেকে এক মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যা মর্মান্তিকভাবে মৃতের সংখ্যা ১২ তে পৌঁছেছে। তবে, ৭৫ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে এবং উদ্ধারকারীরা তাদের সন্ধানে কাজ করছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে যে, দেশটিতে অন্তত ১,৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ২,০০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর জন্য তারা দ্রুততর সহায়তা পাঠাচ্ছে।
চীন, ভারত এবং থাইল্যান্ডসহ মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশগুলি উদ্ধারকাজে সহায়তা পাঠিয়েছে, এবং যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারে $২ মিলিয়ন মানবিক সাহায্য পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এই ভূমিকম্পের ফলে মিয়ানমারের ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য মানবিক সহায়তার চাহিদা বিপুলভাবে বেড়ে গেছে, যেখানে দেশের প্রধান অবকাঠামো যেমন সেতু, রেলপথ, বিমানবন্দরগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দেশটির অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আরও বিপর্যস্ত হয়েছে।