এই সপ্তাহে কিরিল দিমিত্রিভকে ওয়াশিংটনে পাঠিয়েছেন, যা ছিল ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রুশ কূটনৈতিক মিশন। তবে একই সময়ে, পুতিন ১৬০,০০০ সেনা নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন এবং ইউক্রেনের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছেন। তার এই দুই দিকের কৌশল রাশিয়ার বৈদেশিক নীতি এবং ইউক্রেন নিয়ে তার অবস্থানকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পুতিন তার ইউক্রেন যুদ্ধের পরিকল্পনা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি, আমেরিকার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায়। তিনি ট্রাম্পের সাথে ধীরগতিতে আলোচনা চালিয়ে যেতে চান, যাতে যুদ্ধক্ষেত্রে তার অগ্রগতি অব্যাহত রাখা যায় এবং ভবিষ্যতে আরও সুবিধাজনক অবস্থানে থাকেন।
রাশিয়ার কূটনৈতিক মিশনটি ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি সাধন করতে এবং ইউক্রেন সংকট থেকে সরিয়ে অন্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার সুযোগ তৈরি করার লক্ষ্যেই প্রেরিত হয়েছে। তবে, ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং সামরিক অভিযান থামানোর কোনো উদ্যোগ এখনও দেখা যায়নি। পুতিনের সিদ্ধান্ত যে যুদ্ধ থামানোর কোনো ইচ্ছা নেই, তা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয় কিরিল দিমিত্রিভের কথায়, যিনি আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণকে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে তুলে ধরেছেন।
এদিকে, ইউক্রেনের শহর খারকিভে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় পাঁচজন নিহত এবং ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে, যা যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার লক্ষণ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মনে করেন, পুতিন আগামী বসন্তে আক্রমণের পরিকল্পনা করছেন।
এই দ্বৈত কৌশল রাশিয়ার পররাষ্ট্র নীতির একটি অংশ, যেখানে তারা যুদ্ধের মধ্যেও আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চায়, তবে একই সময়ে ইউক্রেনের উপর হামলা চালিয়ে তাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায়।