দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল-মাকতুম মঙ্গলবার ভারতের প্রথম সরকারি সফরে নতুন দিল্লিতে পৌঁছেছেন। এই সফরের সময় তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
শেখ হামদান দুই দিনের সফরে দিল্লি এবং মুম্বাই ভ্রমণ করবেন, যেখানে তিনি একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে আসেন, যা মন্ত্রিসভার সদস্য, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাগণ এবং ব্যবসায়ী নেতাদের নিয়ে গঠিত।
২০২২ সালের ভারত-ইউএই ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তির পর ভারত এবং দুবাইয়ের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই চুক্তি বাণিজ্যিক বাধা অপসারণ, শুল্ক হ্রাস এবং ব্যবসা পরিচালনার সহজীকরণ করেছে, যা উভয় দেশের কোম্পানিগুলিকে একে অপরের বাজারে প্রবেশের সুযোগ তৈরি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি শেখ হামদানের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক পোস্টে বলেন, “দুবাই ভারত-ইউএই ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই বিশেষ সফর আমাদের দৃঢ় বন্ধুত্বকে আবারও দৃঢ় করছে এবং ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করছে।"
২০২৩ সালে দুবাই এবং ভারতের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪৫.৪ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১৯ সালের ৩৬.৭ বিলিয়ন ডলার থেকে অনেক বেড়েছে।
২০২৪ সালে ভারত ছিল দুবাইয়ের শীর্ষ বিনিয়োগকারী, যেখানে ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ছিল, যা ব্যবসা পরিষেবা, সফটওয়্যার ও আইটি সেবা, ভোক্তা পণ্য, খাদ্য ও পানীয়, এবং রিয়েল এস্টেট খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে।
গত বছর পর্যন্ত, ৭০,০০০ এরও বেশি ভারতীয় কোম্পানি দুবাই চেম্বার অফ কমার্সে সদস্যপদ লাভ করেছে।
দুবাই, যা ইউএইয়ের সাতটি আমিরাতের মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল, সেখানে ৪.৩ মিলিয়ন ভারতীয় প্রবাসী বসবাস করছেন, যারা ভারতের বৃহত্তম প্রবাসী সম্প্রদায়ের অংশ।
শেখ হামদান তার সফরের সময় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এই সফরের পার্শ্ববর্তী অনুষ্ঠানে, দুবাই চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিনিধিরা মুম্বাইয়ে একটি ব্যবসায়িক ফোরামের আয়োজন করবেন, যেখানে প্রায় ২০০ শিল্প নেতার সঙ্গে নতুন বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
দিল্লি সফর শেষে, শেখ হামদান মুম্বাইতে সফর করবেন, যেখানে তিনি ভারত এবং দুবাইয়ের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সাথে একটি রাউন্ডটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।