ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, মিশর ও ইসরায়েল এক খসড়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি নিয়ে কাজ করছে। এই প্রস্তাবে অন্তত আট জীবিত ইসরায়েলি বন্দি এবং আটজনের মরদেহ মুক্তির বিনিময়ে ৪০ থেকে ৭০ দিনের যুদ্ধবিরতি এবং বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
নতুন প্রস্তাব নিয়ে নেটানিয়াহুর বৈঠক
ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম ‘কান’ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি পরিস্থিতি পর্যালোচনা বৈঠক করেন। এতে নতুন মিশরীয় প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়।
বর্তমানে গাজায় প্রায় ৫৮ জন ইসরায়েলি বন্দি রয়েছে, যাদের মধ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ধারণা।
পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতির ভাঙন
গত ১৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এতে ৩৩ জন ইসরায়েলি বন্দিকে ফিরিয়ে আনা হয়, যাদের মধ্যে আটজনের মরদেহ ছিল। এর বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় ১,৮০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়।
তবে সেই চুক্তি ভেঙে যায় যখন ইসরায়েল নতুন ও কঠোর শর্ত সামনে আনে। ইসরায়েল চায়, বাকি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে হামাস চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা ছাড়া বন্দিমুক্তি মেনে নিক। কিন্তু হামাস পুরোনো চুক্তির ভিত্তিতে আলোচনা চায়। এই মতবিরোধের জেরে ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় আবার পূর্ণমাত্রায় হামলা শুরু করে এবং যুদ্ধবিরতি বাতিল হয়ে যায়।
আশার আলো?
বর্তমান প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি দেখা দিলেও এটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এখনও বহু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের প্রশ্নে ইসরায়েল ও হামাসের অবস্থান এখনও ভিন্ন মেরুতে।
সূত্র: টাইমস অফ ইসরায়েল, কান পাবলিক ব্রডকাস্টিং, আল-জাজিরা।