চারপাশ অন্ধকার করে নামল বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাব শুরু!
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ‘দানা’। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে এটি আছড়ে পড়তে পারে এবং বর্তমানে ভারতের ওড়িশা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এরইমধ্যে দানা’র প্রভাব দেখা দিতে শুরু করেছে। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাব শুরু হয়েছে ওড়িশায়। দেশটির আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, আজ রাতেই ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঝড়। তার আগে এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ওড়িশার উপকূল এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত।
এখনও পর্যন্ত আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ভিতরকণিকা থেকে ধামরার মধ্যে দিয়ে স্থলভাগে ঢুকতে পারে ঘূর্ণিঝড় দানা।
২৩ অক্টোবর মধ্যরাতের পর থেকেই ধামরায় ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে, তার সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। পরিস্থিতি সামলাতে ধামরা বন্দর থেকে কর্মীদের সরিয়ে নেয়া শুরু হয়েছে। ধামরার সমুদ্র সৈকতে মাইকিং করে সতর্কতামূলক প্রচার করছে প্রশাসন।
এছাড়া স্থানীয়দের এলাকা থেকে সরে যাওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। বন্দরে বেঁধে রাখা হয়েছে বিভিন্ন মাছ ধরার নৌকা। এখন সমুদ্রে যাচ্ছে না কোনো নৌকা। তীব্র বেগে হাওয়া বইতে শুরু করেছে, উড়ে যাচ্ছে ত্রিপল। সৈকতের সামনে থেকে সব দোকান সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
মধ্য ওড়িশার বিস্তীর্ণ এলাকায়ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে পারাদ্বীপে (৬২ মিলিমিটার)। কেন্দ্রাপাড়ার রাজনগরে ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ভদ্রক, বালাসোর, জয়পুর, কটক, খুরদা ও পুরীতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পিটিআই সূত্রের খবর, ইতোমধ্যেই ভদ্রক, ভিতরকণিকা ও পুরীতে গাছ উপড়ে বেশ কিছু রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
ঘূর্ণিঝড় দানা’র ধাক্কা সামলাতে পদক্ষেপ করছে ওড়িশা প্রশাসন। বিপদ থেকে বাঁচতে ১৪টি জেলা থেকে অন্তত ১০ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। সেই মতো কাজও শুরু হয়েছে।
ওড়িশার পুরী অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থল। ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা থেকে বাঁচতে ২৩ অক্টোবরের আগেই পুরী থেকে সরে যেতে বলা হয়েছিল পর্যটকদের। ২৪ ও ২৫ অক্টোবর পুরীতে না যাওয়ারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আইএমডি’র ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্রের বরাতে পিটিআই জানিয়েছেন, ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ল্যান্ডফল শুরু হবে। ২৫ অক্টোবর সকাল পর্যন্ত চলবে সেই প্রক্রিয়া। ল্যান্ডফলের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ পৌঁছতে পারে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।