গত রবিবার সকালে জনবহুল এলাকায় চালানো এই হামলাকে ২০২৫ সালের অন্যতম ভয়াবহ হামলা হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হামলার নিন্দা জানিয়ে এটিকে “সাধারণ মানুষের উপর বর্বরতা” বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন,
“শুধু নিকৃষ্ট মানুষই এমন কাজ করতে পারে। মানুষ যখন গির্জায় যাচ্ছিল, তখন এমন নৃশংসতা! আজ তো খেজুর রবিবার, খ্রিস্টানদের পবিত্র একটি দিন।”
হামলার পর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তায় পড়ে আছে মরদেহ, পুড়ে গেছে বাস ও গাড়ি। বেসামরিক ভবন ও যানবাহন সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নিহতরা কেউ রাস্তায় হাঁটছিলেন, কেউবা যানবাহনে কিংবা গণপরিবহনে ছিলেন। আবার কেউ তাদের নিজ ঘরেই আক্রান্ত হয়েছেন।
জবাব চাইলেন জেলেনস্কি
জেলেনস্কি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। তিনি বলেন,
“রাশিয়া এই ধরনের সন্ত্রাসই চায় এবং যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছে। চাপ ছাড়া কোনো শান্তি সম্ভব নয়। আলোচনায় ব্যালিস্টিক মিসাইল থেমে থাকে না।”
কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ
হামলার সময়পরিক্রমা নিয়ে ইউক্রেনের নিরাপত্তা কর্মকর্তা আন্দ্রি কোভালেঙ্কো বলেন, হামলাটি ঘটেছে এমন এক সময়, যখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ মস্কো সফর শেষে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন।
কোভালেঙ্কোর ভাষায়,
“রাশিয়া এই তথাকথিত কূটনীতি গড়ে তুলছে সাধারণ মানুষের ওপর হামলার ভিত্তিতে।”
চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ পাল্টাপাল্টি
রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেন তাদের জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর পাঁচটি হামলা চালিয়েছে, যা সম্প্রতি করা একটি যুক্তরাষ্ট্র-মধ্যস্থ বিরতির চুক্তির লঙ্ঘন।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন ও রাশিয়া গত মাসে পরস্পরের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধে এক অস্থায়ী সমঝোতায় পৌঁছায়, তবে দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে।
পটভূমি:
রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান চালায় এবং বর্তমানে দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ২০ শতাংশ এলাকা দখলে রেখেছে। যদিও বর্তমানে যুদ্ধের মোড় ঘুরে গেছে বিমান ও ড্রোন হামলার দিকেই।