ইসরায়েলের সঙ্গে যেকোনো নতুন চুক্তিতে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না বলে জানিয়েছে হামাস। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম বলেন, শুধুমাত্র বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখার কোনো সুযোগ নেই।
হামাস-ঘনিষ্ঠ কুদস নিউজ পোর্টালকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন,
"যদি নতুন প্রস্তাবগুলো যুদ্ধ শেষ করা এবং শত্রু বাহিনী প্রত্যাহারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে, তাহলে আমরা তা অত্যন্ত দায়িত্বশীল ও ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করব। আমরা এমন কোনো ফাঁদে পড়তে রাজি নই, যাতে শুধু বন্দি বিনিময় হয় এবং তারপর গাজায় আবারো আগ্রাসন শুরু হয়।"
তিনি আরও জানান, একটি হামাস প্রতিনিধি দল বর্তমানে কায়রোতে অবস্থান করছে, যেখানে তারা মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা করছে "যুদ্ধ শেষ করার সম্ভাবনা এবং গাজার সীমান্তে চেকপয়েন্টগুলো খুলে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর উপায়" নিয়ে।
হামাস শনিবার জানায়, তাদের রাজনৈতিক ব্যুরোর শীর্ষ নেতা খলিল আল-হাইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মিশরে পৌঁছেছে গাজা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার জন্য।
হামাস-ঘনিষ্ঠ ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা মাআন জানিয়েছে, মিশর নতুন একটি শান্তি উদ্যোগ দিয়েছে, যেখানে যুদ্ধবিরতি, বন্দি বিনিময় ও মানবিক সহায়তা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই প্রস্তাবে আট বা নয়জন জিম্মির মুক্তি, যাদের মধ্যে একজন ইসরায়েলি-আমেরিকান দ্বৈত নাগরিক রয়েছেন, এবং হামাসের হেফাজতে মারা যাওয়া আটজনের মরদেহ হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছে।
এর বিনিময়ে ইসরায়েল কয়েকশ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে, যাদের মধ্যে ১৫০ জন আজীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত। প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ৫০ দিন এবং তা ৭০ দিন পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে, যাতে চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ—সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলি বাহিনীর গাজা থেকে প্রত্যাহার—নিয়ে পরোক্ষ আলোচনা চালিয়ে যাওয়া যায়।
মাআনের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ইসরায়েল এই মিশরীয় প্রস্তাব "গৃহীত করার খুব কাছাকাছি রয়েছে"।