সৌদি আরবকে পারমাণবিক প্রযুক্তি ও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অধিকার দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, জানিয়েছেন মার্কিন জ্বালানিমন্ত্রী ক্রিস রাইট।
রবিবার আল-আরাবিয়া নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন সৌদি সফরের আগে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে জ্বালানি খাতে একটি বিস্তৃত সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। পারমাণবিক শক্তি নিয়ে নির্দিষ্ট একটি চুক্তি পরবর্তীতে স্বাক্ষরিত হতে পারে।
রাইট বলেন, "স্বল্পমেয়াদে আমরা একটি বিস্তৃত চুক্তি স্বাক্ষর করবো যা জ্বালানি খাতে অংশীদারত্ব, বিনিয়োগ ও গবেষণা নিয়ে কাজ করবে। পারমাণবিক শক্তি নিঃসন্দেহে সেই খাতগুলোর একটি।"
তিনি আরও বলেন, "সৌদি আরবে বাণিজ্যিক পারমাণবিক উন্নয়নে অংশীদার হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে কিছুটা সময় লাগবে—সপ্তাহ নয়, বরং কয়েক মাস। তবে আমি মনে করি এটি সম্ভব এবং তা হবে।"
এই ধরনের চুক্তির জন্য সৌদি আরবকে অবশ্যই "১২৩ চুক্তি" স্বাক্ষর করতে হবে, যা হচ্ছে মার্কিন পারমাণবিক শক্তি আইন অনুযায়ী বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতার জন্য একটি আইনি কাঠামো, যার লক্ষ্য পারমাণবিক অস্ত্র ছড়িয়ে পড়া রোধ করা।
রাইট বলেন, "এই চুক্তি ছাড়া এটি সম্ভব নয়। আমাদের অবশ্যই একটি ১২৩ চুক্তি এবং একটি নির্দিষ্ট কাঠামো লাগবে, যা আমাদের সহযোগিতা কীভাবে হবে তা নির্ধারণ করবে।"
সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরেই তার অর্থনীতিকে তেল-নির্ভরতা থেকে সরিয়ে আনতে একটি পারমাণবিক শক্তি কর্মসূচি গড়ে তোলার জন্য মার্কিন সহায়তা চেয়ে আসছে। তবে অতীতে এ নিয়ে আলোচনা বন্ধ হয়ে যায়, কারণ সৌদি আরব পারমাণবিক অস্ত্র বিকাশ রোধে যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত মেনে নিতে অনিচ্ছুক ছিল।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামী মাসে সৌদি আরব সফরে যাবেন বলে জানানো হয়েছে, যা দু’দেশের কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।