“গাজার ওপর আংশিক চুক্তিগুলো কেবল নেতানিয়াহুর যুদ্ধ, গণহত্যা ও ক্ষুধার রাজনীতিকে চালিয়ে যাওয়ার জন্য রাজনৈতিক ছত্রছায়া হিসেবে কাজ করে,” বলেছেন গাজায় হামাসের প্রধান এবং দলটির প্রধান আলোচক খালিল আল-হাইয়া। তিনি হামাসের পক্ষ থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তির জন্য প্রস্তুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
“আমরা এখনই এমন একটি সর্বাত্মক প্যাকেজ চুক্তির আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, যার আওতায় সব ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে আমাদের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে, যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান ঘটবে, গাজা থেকে পূর্ণ ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, পুনর্গঠন শুরু এবং অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে।”
আল-হাইয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিম্মি বিষয়ক বিশেষ দূত অ্যাডাম বোহলারের বক্তব্যকে স্বাগত জানান, যিনি বৃহস্পতিবার আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন: “আমি বলতে পারি যে, যদি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হয়, তাহলে যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ হয়ে যাবে।”
আল-হাইয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গাজা অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য অবিলম্বে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান, সতর্ক করে বলেন যে “গাজার দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষ এখনো ক্ষুধার মাধ্যমে গণহত্যার শিকার।”
তিনি উল্লেখ করেন, হামাস রমজান মাসের শেষে, ২৯ মার্চে একটি মধ্যস্থতাকারী প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল, কিন্তু নেতানিয়াহু পরে সেটি প্রত্যাখ্যান করে এমন কিছু ‘অযৌক্তিক শর্ত’ দেন যা যুদ্ধবিরতি বা সেনা প্রত্যাহারে নিয়ে যাবে না।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৫১,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত বছরের নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
এছাড়াও, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় পরিচালিত যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলা চলছে।