সদ্য পুনর্নির্বাচিত ইকুয়েডরের রাষ্ট্রপতি ড্যানিয়েল নোবোয়ার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য হত্যার ষড়যন্ত্র নিয়ে দেশটি ‘সর্বোচ্চ সতর্কতা’ জারি করেছে বলে শনিবার জানিয়েছে সরকার।
নোবোয়া ১৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত রানঅফ ভোটে বিজয়ী হন, তবে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লুইসা গঞ্জালেস অভিযোগ করেন যে নির্বাচনে “ভয়াবহ জালিয়াতি” হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে ফাঁস হওয়া একটি সামরিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকোসহ অন্যান্য দেশ থেকে একদল ঘাতক ইকুয়েডরে প্রবেশ করেছে এবং তারা রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে “সন্ত্রাসী হামলা” চালানোর পরিকল্পনা করছে।
শনিবার ভোরে এক বিবৃতিতে ইকুয়েডরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, “আমরা রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের জীবনের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “রাষ্ট্র সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।”
সরকার দাবি করেছে, এই ষড়যন্ত্রের পেছনে রয়েছে “পরাজিত রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে জড়িত অপরাধী চক্রগুলো।” তবে তারা নির্দিষ্ট করে কারো নাম প্রকাশ করেনি।
ইকুয়েডরের নির্বাচন পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে, তবে মেক্সিকো ও কলম্বিয়া এখনো নোবোয়ার বিজয়কে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাম বামপন্থী প্রার্থী গঞ্জালেসের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যিনি পুনঃগণনার দাবি করেছেন।
উল্লেখযোগ্য যে, এক বছর আগে ইকুয়েডরের কুইটোতে অবস্থিত মেক্সিকোর দূতাবাসে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান চালিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্ত এক সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারের পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়।
নোবোয়া, যিনি আগামী ২৪ মে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা, তার সামনে বিশৃঙ্খল ও সহিংসতায় জর্জরিত একটি দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার বিশাল চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ বছরের শুরুতে দেশটিতে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে একজন করে খুন হচ্ছিল, কারণ বিভিন্ন মাদক চক্র মাদক পাচার রুটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে।