গাজা শহরের একটি স্কুল-আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় আগুন লেগে শিশুসহ অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। নিহতদের মধ্যে একজন শিশু আগুনে পুড়ে মারা গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স।
বুধবার ভোরে স্কুলে চালানো হামলার পর সিভিল ডিফেন্স জানায়, যেখানে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেখান থেকে তারা ১০টি মরদেহ উদ্ধার করেছে। আহতদের সঠিক সংখ্যা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি, তবে সংখ্যাটি অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
"শিশুরা ঘুমন্ত অবস্থায় তাবুতে পুড়ে মারা যাচ্ছে," — হামলার পর সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন আল জাজিরার প্রতিবেদক আনাস আল-শরীফ।
তিনি আরও বলেন, "কোনো নিরাপদ জায়গা নেই, এই গণহত্যার কোনো বেঁচে যাওয়া নেই। গাজা শহর ও এর উত্তরের এলাকাগুলো কয়েক ঘণ্টা ধরে তীব্র গোলাবর্ষণ ও গোলাবোমার হামলার শিকার হয়েছে।"
হামলার পর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, আগুনে জ্বলতে থাকা তাবু, গলে যাওয়া কাপড় ও কাঠামো, পুড়ে যাওয়া চেয়ার এবং একটি বিছানার ফ্রেম।
সিভিল ডিফেন্স আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটিকে জরুরি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে, কারণ গাজা শহরের তুফাহ এলাকায় দুটি বাড়িতে বোমা হামলার পর বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে রয়েছে।
"ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা মানুষজন সাহায্যের জন্য চিৎকার করছে,"—এক বিবৃতিতে জানায় সিভিল ডিফেন্স। তবে ইসরায়েল ওই এলাকা “নো-গো জোন” হিসেবে ঘোষণা করায়, সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না উদ্ধারকর্মীরা।
আল জাজিরা আরবি ও স্থানীয় ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম জানায়, গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে টেন্ট-আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় বুধবার সকালে এক শিশু ও আরও একজন নিহত হয়েছেন।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি নামক তথাকথিত “নিরাপদ এলাকায়” ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় আরও একজন নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও রিপোর্ট এসেছে।
দিনের শুরু থেকেই গোটা গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণের তীব্রতা দেখা গেছে।