
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম ১০০ দিনের সাফল্য উদযাপন করতে যাচ্ছেন মিশিগানে এক র্যালির মাধ্যমে, এবং এর পরবর্তী ১০০ দিনের জন্য একটি উচ্চাভিলাষী কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন—যার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য চুক্তি, শান্তি আলোচনা এবং আরও নির্বাহী আদেশ।
হোয়াইট হাউজের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ট্রাম্প প্রশাসন একাধিক দেশের নাগরিকদের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে এবং আরও কিছু “জলতলের টর্পেডো” আসছে বলে ইঙ্গিত দেন—যার বিস্তারিত এখনো জানানো হয়নি।
প্রশাসনিক পরিবর্তন ও বিতর্কিত সিদ্ধান্ত
ট্রাম্প তার প্রথম ১০০ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিমালায় আমূল পরিবর্তন এনেছেন, যার মধ্যে রয়েছে:
অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়ন
ট্রান্সজেন্ডার অধিকার সংকোচন
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তহবিল বন্ধ করা (যেখানে প্রশাসনের মতে ইহুদিবিরোধী আচরণ সহ্য করা হয়)
DEI (Diversity, Equity, Inclusion) প্রোগ্রাম বাতিল
সরকারি ও বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানের হ্রাস
এলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন “Government Efficiency Department” প্রশাসনের অপ্রয়োজনীয় খরচ ও আমলাতন্ত্র কমাতে কাজ করছে।
ট্রাম্পের বিদেশনীতি ও শান্তি উদ্যোগ
পরবর্তী ১০০ দিনে ট্রাম্প বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের চেষ্টা করবেন, যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, ৯০ দিনের মধ্যে সফল চুক্তি অসম্ভব। এখনো পর্যন্ত একটিও সফল বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি, বিশেষ করে চীনের সাথে আলোচনা বারবার বিতর্কিত হয়ে উঠেছে।
ট্রাম্প আগামী মাসে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাবেন, এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে শান্তি আলোচনার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। যদিও তিনি আগে বলেছিলেন, “প্রথম দিনেই যুদ্ধ বন্ধ করবেন,” বাস্তবে শান্তি এখনো অধরা।
সমালোচনা ও বিরোধিতা
যদিও সমর্থকরা ট্রাম্পের উদ্যোগকে “একজন রক্ষণশীলের স্বপ্নপূরণ” বলে বর্ণনা করছেন, তবে সমালোচকেরা বলছেন তিনি:
নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন করছেন
মিত্র দেশগুলোর সাথে সম্পর্কে ফাটল ধরাচ্ছেন
মার্কিন নেতৃত্বকে বিশ্বমঞ্চে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন
আদালত বনাম প্রেসিডেন্ট
কিছু নির্বাহী আদেশ আদালতে স্থগিত হওয়ায় ট্রাম্প প্রশাসন বিচার বিভাগের সমালোচনা করেছে, বলেছে তারা “নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের ইচ্ছা প্রতিহত করছে”।