
ট্রাম্প নাকি কমলা, মার্কিন নির্বাচনে কে জিতলে ভারতের লাভ?
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র একদিন বাকি। পুরো বিশ্বের মানুষ মুখিয়ে আছেন এই নির্বাচনের দিকে। কেননা, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে মনে করা হয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প, কমলা হ্যারিস ও নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা মার্কিন নির্বাচনকে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য, অভিবাসন, জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচনে কমলা হ্যারিস জিতলে তিনি বাইডেন প্রশাসনের বহুপাক্ষিক দৃষ্টিভঙ্গি অব্যাহত রাখবেন, আঞ্চলিক অংশীদারত্বকে সমর্থন করবেন। সেইসঙ্গে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করবেন বলেও আশা করা হচ্ছে। যেহেতু, বাইডেন প্রশাসনের অধীনে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে শুল্ক এবং সুরক্ষাবাদী অবস্থান পুনরুজ্জীবিত করতে পারেন, যা সম্ভাব্যভাবে ভারতের রফতানিকে প্রভাবিত করতে পারে। কেননা, এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে ‘শুল্ক রাজা’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তবে, তার প্রেসিডেন্সি ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা আমদানিকে প্রতিস্থাপন করতে সহায়তা করতে পারে; যদিও এর একটি বাণিজ্যিক ঝুঁকি রয়েছে।
অভিবাসনের বিষয়ে, কমলা হ্যারিস ভারতের আইটি খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এইচ-ওয়ানবি ভিসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারেন। অন্যদিকে দক্ষ কর্মীদের জন্য নিয়ম কঠোর করতে পারেন ট্রাম্প।
প্রতিরক্ষায় হ্যারিস ইন্দো-প্যাসিফিক জোটের দিকে অধিক মনোনিবেশ করেন। অন্যদিকে, ট্রাম্প কোয়াডকে সমর্থন করেন। আর উভয়ই ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। সুতরাং ক্ষমতায় যে-ই আসুক না কেন, এদিক থেকে ভারত লাভবান হবে।
ভারত ঐতিহাসিকভাবে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেটিক উভয় প্রশাসনের সাথেই দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একদিকে যেমন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন, অন্যদিকে বাইডেনের অধীনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করেছেন।
যদিও ট্রাম্প মোদির প্রশংসা করেছেন। তবে শুল্ক নিয়ে তার মন্তব্য সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংঘর্ষের ইঙ্গিত দেয়।
এদিকে, কমলার ভারতীয় ঐতিহ্য থাকলেও তার ভারতের প্রতি সেরকম টান নেই বললেই চলে। কারণ, তার পাবলিক আইডেন্টিটি তার জ্যামাইকান বাবার কাছ থেকে, যা আফ্রিকান এবং ক্যারিবিয়ান শিকড়ের দিকে বেশি ঝুঁকেছে। যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের মতো তিনি তার ভারতীয় পরিচয়কে স্পষ্টভাবে গ্রহণ করেননি।
সূত্র: বিবিসি