
পেন্টাগনের প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ বলেছেন, আমেরিকা এবং জাপান চীনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একসাথে কাজ করার জন্য একটি “যোদ্ধা মনোভাব” শেয়ার করে। তিনি বলেন, জাপান হলো চীনের সামরিক আগ্রাসন প্রতিহত করতে আমেরিকার একটি “অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী”।
রবিবার টোকিওতে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল নাকাতানির সাথে একটি বৈঠকে হেগসেথ বলেন, “আমেরিকা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শক্তিশালী, প্রস্তুত এবং বিশ্বাসযোগ্য প্রতিরোধ বজায় রাখার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যেও প্রযোজ্য।” গত কয়েক বছরে চীন তাইওয়ানকে ঘিরে তার সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে, যার মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই আকাশে অনুপ্রবেশ রয়েছে এবং চীন যে কোনও সময় তাইওয়ানকে নিজেদের অধীনে আনার জন্য শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনা অস্বীকার করেনি।
এছাড়া, গত বছর সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন ঘোষণা করেছিল যে, জাপানে আমেরিকার সামরিক উপস্থিতি পুনর্গঠিত হবে, যাতে বেইজিংকে তাদের “সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ” হিসাবে উল্লেখ করে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করা যায়।
যদিও, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতির কথা বলেছেন, বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, এই নীতির ফলে এশিয়া অঞ্চলে আমেরিকার নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি প্রভাবিত হতে পারে। বর্তমানে, জাপানে ৫০,০০০ মার্কিন সেনা অবস্থান করছে এবং অধিকাংশ ফাইটার জেট ওকিনাওয়ার কাছে, তাইওয়ানের পূর্বে অবস্থান করছে।
এদিকে, হেগসেথ তার সফরের সময় নিশ্চিত করেছেন যে, আমেরিকা এবং জাপান যৌথভাবে বেয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার AMRAAM ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন করতে একসাথে কাজ করবে এবং SM-6 সোপর্স-টু-এয়ার ডিফেন্স ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনে সহযোগিতা করার পরিকল্পনা নিয়েছে, যা গোলাবারুদে ঘাটতি কমাতে সহায়ক হবে।
তবে, একই সময়ে, টোকিও ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের কারণে কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছে, যেখানে তিনি জাপানি গাড়ি আমদানির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন, যা ৩ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।