
লন্ডন: বিএনপি চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার পরিবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্বের সকল মুসলমানকে জানাই হৃদয় থেকে ঈদের শুভেচ্ছা – ঈদ মোবারক।”
স্বৈরতন্ত্র-মুক্ত প্রথম ঈদ
বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, “সতেরো বছর ধরে নিপীড়িত বাংলাদেশের মানুষ অপেক্ষায় ছিল সেই দিনের, যখন তারা এক স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে ঈদ উদযাপন করতে পারবে। ২০২৪ সালে, সেই প্রার্থনা পূরণ হয়েছে। এক ঐতিহাসিক গণজাগরণের মাধ্যমে, দুই হাজারেরও বেশি প্রাণের বিনিময়ে, বাংলাদেশ স্বৈরশাসনের শৃঙ্খল ভেঙে মুক্ত হয়েছে।”
তারা আরও বলেন, “এই ঈদ, প্রায় দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো, আমরা উদযাপন করছি এক স্বৈরতন্ত্র-মুক্ত বাংলাদেশে।”
শহীদদের স্মরণ ও অসহায়দের পাশে থাকার আহ্বান
বিএনপি নেতারা স্বাধীনতার সংগ্রামে আত্মত্যাগকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং আহতদের সুস্থতা ও কল্যাণের জন্য দোয়া করেন।
তারা বলেন, “বিএনপির নেতা-কর্মীসহ সকল বাংলাদেশিকে আহ্বান জানাই—আপনার আশপাশের অসহায় মানুষের খোঁজ নিন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিন। এতিমদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিন। অর্থনৈতিক কষ্ট যেন কাউকে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না করে, সেজন্য দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ান।”
অতিরিক্ত ভাড়া না নেওয়ার অনুরোধ
বিবৃতিতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়, যাতে তারা অতিরিক্ত ভাড়া না নেয় এবং ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারে।
দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বলেন, “আমরা যখন ঈদ উদযাপন করছি, তখন কিছু অপশক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। সকল নাগরিককে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই, যাতে এই শক্তিগুলো আমাদের কষ্টার্জিত বিজয়কে ব্যাহত করতে না পারে।”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সর্বোচ্চ সতর্কতার আহ্বান
তারা দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর প্রতি সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার অনুরোধ জানান, যাতে কোনো ষড়যন্ত্রকারী জনগণের জীবন ও সম্পদের ক্ষতি করতে না পারে।
“এই ঈদ হোক শান্তি, ঐক্য ও আনন্দের প্রতীক”
বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বলেন, “আসুন, এই প্রথম মুক্ত বাংলাদেশের ঈদ হোক শান্তি, ঐক্য ও আনন্দের প্রতীক। আল্লাহ যেন আমাদের এই বরকতময় দিন দান করেন, এই প্রার্থনা করি।”