
সুদানের স্থানীয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের বার্তায়, সুদানের অন্তর্বর্তীকালীন সার্বভৌমত্ব পরিষদের সভাপতি আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান বলেছেন, “বিজয়ের আনন্দ তখনই পূর্ণ হবে যখন দেশটির প্রতিটি অংশ থেকে বিদ্রোহীদের শেষ ঘাঁটি নিশ্চিহ্ন করা হবে।”
তিনি বলেন, “র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) মিলিশিয়াকে পরাজিত ও বিধ্বস্ত করার ব্যাপারে কোনো পশ্চাদপসরণ হবে না, যারা সুদানese জনগণের বিরুদ্ধে সবচেয়ে ঘৃণ্য নির্যাতন চালিয়েছে।”
বুরহান সুদানের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, যাদের সমর্থনে সুদানী সেনাবাহিনী এ যুদ্ধের অগ্রগতিতে সফলতা অর্জন করেছে। তিনি জনগণকে “বিজয়ের প্রকৃত মালিক” হিসেবে অভিহিত করেন।
এর আগে, সুদানী সেনাবাহিনী ওমদুরমানের একটি প্রধান বাজার পুনরুদ্ধার করে, যা আরএসএফ এর অধীনে ছিল এবং এপ্রিল ২০২৩ এ এই সংঘর্ষের শুরুতে এই এলাকা আরএসএফ দখল করেছিল। লিবিয়া বাজার, যা পশ্চিম ওমদুরমানে আরএসএফ এর একটি শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল, সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আসায়, সেনাবাহিনী পশ্চিম ওমদুরমানে তাদের উপস্থিতি সম্প্রসারণ করতে সক্ষম হবে।
সম্প্রতি, সেনাবাহিনী খার্তুম ও বাহরির কিছু অংশও পুনরুদ্ধার করেছে এবং গত দুই দিনে সেনাবাহিনী উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। খার্তুমে সেনাবাহিনী আরএসএফ এর শেষ ঘাঁটি পরিষ্কার করে খার্তুম বিমানবন্দর, নিরাপত্তা ও সামরিক সদর দপ্তর এবং রাজধানীর পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা পুনরুদ্ধার করেছে।
আরএসএফ এর আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণ সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দ্রুত কমেছে, এবং সুদানী সেনাবাহিনী দেশের বিভিন্ন রাজ্যে, বিশেষ করে খার্তুম, আল-জাজিরা, সাদা নীল, উত্তর কর্দোফান, সেন্নার এবং ব্লু নাইলে তাদের উপস্থিতি শক্তিশালী করেছে।
এ যুদ্ধের ফলে প্রায় ২০,০০০ জনের বেশি প্রাণহানী ঘটেছে এবং ১৪ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, UN এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ১,৩০,০০০ বলে অনুমান করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী এবং জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এই যুদ্ধের অবসান দাবী জোরালো হচ্ছে, এবং সতর্কতা জানানো হচ্ছে যে, খাদ্য সংকট এবং মৃত্যুর কারণে একটি মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। এই সংঘর্ষ বর্তমানে সুদানের ১৮টি রাজ্যের মধ্যে ১৩টিতে ছড়িয়ে পড়েছে।