
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অবসান এখনো দূরে থাকার মধ্যে, ব্রিটেনের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান স্যার আলেক্স ইয়াংগার সতর্ক করেছেন যে, ব্রিটেনকে পুতিনের আগ্রাসী পরিকল্পনা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে এবং একটি জাতীয় সেবার মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনী ও রিজার্ভ শক্তি গঠন করতে হবে।
স্যার আলেক্স ইয়াংগার, যিনি MI6-এর প্রধান হিসেবে “C” নামে পরিচিত ছিলেন, বলেছেন যে ব্রিটেনে এখনো রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে হুমকি রয়েছে, সেটি সত্যি এবং এটি বাস্তব। তিনি বলেন, “পুতিন এবং ট্রাম্প একসাথে আমাদের বোঝাতে চেষ্টা করেছেন যে নিয়মগুলো পরিবর্তিত হয়েছে।”
ইয়াংগার আরও বলেন, “আমরা সামরিকভাবে আমাদের সক্ষমতা অনেকটাই কমিয়ে ফেলেছি, এবং এটি একটি বড় সমস্যা। আমাদের দীর্ঘ সময় ধরে কোনো অস্তিত্বগত হুমকির মুখোমুখি হতে হয়নি, কিন্তু এখন সঠিকভাবে প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি নেয়া জরুরি।”
তিনি আরও জানান, “আমরা সেনাবাহিনীকে ইংল্যান্ড ফুটবল দলের মতো ভাবতে অভ্যস্ত, তারা গিয়ে নিজেদের কাজ করে আসে এবং আমরা টেলিভিশনে দেখে থাকি – কিন্তু আর তা হতে পারে না।”
তিনি প্রস্তাব দেন যে, ব্রিটেনের সরকার এবং জনগণকে এখন একটি বৃহত্তর রিজার্ভ ব্যবস্থা গঠন করতে হবে, যেখানে নাগরিকরা তাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি সম্মিলিত সামরিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন।
স্যার আলেক্স এই বিষয়ে বলেন, “আমি জানি না কনস্ক্রিপশন (বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা) কতটা কার্যকর হবে, তবে এটি একটি অধিক ব্যাপক ও সৃজনশীল ধারণা হতে হবে।”
এদিকে, সাবেক মার্কিন ন্যাটো দূত ড. রাচেল এলেহুস জানান, পুতিন ইউরোপের মানচিত্রকে নতুনভাবে আঁকার চেষ্টা করছেন, এবং ট্রাম্পের প্রশাসন ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে সাহায্য করেছে।
তিনি সতর্ক করেন যে, রাশিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে যুদ্ধের মতো অঘোষিত আক্রমণগুলো বাড়ছে, বিশেষ করে রাশিয়া ন্যাটো সদস্য দেশগুলির নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ করছে।
স্যার আলেক্স বলেন, “পুতিন পশ্চিমা দেশগুলোকে দুর্বল করতে চাইছে, এবং এই ধরনের শক্তির অব্যাহত হুমকির মুখে আমাদের প্রস্তুতি থাকা অত্যন্ত জরুরি।”
এটি এমন একটি মুহূর্ত, যখন বিশ্বের বড় শক্তিগুলো তাদের প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে এবং ব্রিটেনকে নতুনভাবে নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে, যাতে তারা পুতিনের আক্রমণের মুখে উপযুক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।