
সিলেটে বৃষ্টিপাত কমলেও সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল নয়টা পর্যন্ত সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি চারটি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একইসাথে পাউবো থেকে প্রতি তিন ঘন্টা অন্তর অন্তর পাঠানো প্রতিবেদনে সিলেটের অনন্যা নদ-নদীর পানি কমে বিপদসীমার নিচে নেমে এসেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে গত ২৪ঘন্টায় সিলেটে বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে ১৭ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এর আগের ২৪ ঘন্টায় ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, আগামী সোমবার পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময়ে সিলেটে হালকা বা মাঝারি বৃষ্টিসহ বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় পাউবো এর তথ্যমতে, কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় । এর আগে গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় এই পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ছে ।
কুশিয়ারা নদীর পানি শেওলা পয়েন্টে সকাল ৯টায় বিপদসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৬৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর আগে গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় এই দুই পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ও ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই হিসেবে ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বেড়েছে।
তাছাড়া সুরমা নদীর পানি সকাল ৯টায় কানাইঘাট পয়েন্টে ৭১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর আগে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় এই পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৮২ সেন্টিমিটার উপরে ছিল।
তাছাড়া সারি, ডাউকি, ধলাই ও লোভাছড়ার পানি কমছে। বৃহস্পতিবার পাউবো এর তথ্যমতে এসব নদনদীর পানি বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, নদ-নদীর পানি কমলেও সিলেটের জকিগঞ্জ ও কানাইঘাটসহ বিভিন্ন নিচু এলাকা নতুন করে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত রোববার (২ জুন) দিবাগত রাতে কুশিয়ারা নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে ডাইক ভেঙে লোকালয়ে প্রবেশ করার কারণে জকিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কিছু কিছু এলাকায় পানি কমলেও বেশিরভাগ এলাকা এখন অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে কিছু কিছু এলাকায় পানি বাড়ছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।