গাজার হাসপাতাল থেকে ১০০ হামাস যোদ্ধাকে গ্রেফতারের দাবি ইসরাইলের
গাজার উত্তরাঞ্চলে কামাল আদওয়ান হাসপাতাল থেকে ১০০ সন্দেহভাজন হামাস যোদ্ধাকে গ্রেফতারের দাবি করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। সোমবার (২৮ অক্টোবর) ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
কামাল আদওয়ান হাসপাতালের আশেপাশের এলাকায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র। ছবি: রয়টার্স
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং হামাসের হাইকমান্ড ইসরাইলের এ দাবিকে অস্বীকার করেছে। তিনি জানান, ওই হাসপাতালে কোনো হামাস যোদ্ধা ছিল না।
সোমবারের বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে, ‘শনিবার (২৬ অক্টোবর) উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০০ ‘সন্ত্রাসী’কে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী। তবে হাসপাতাল চত্বর থেকে বেসামরিকদের সরানোর সময় কয়েক জন পালানোর চেষ্টা করেছিল, তাদেরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের ভেতর থেকে অস্ত্রশস্ত্র, সন্ত্রাস সংক্রান্ত তহবিল এবং গোয়েন্দা নথিও জব্দ করা হয়েছে।’
অভিযানে অংশ নেয়া এক সেনা কর্মকর্তা রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘কয়েক জন ‘সন্ত্রাসী’ নিজেদেরকে হাসপাতালের স্টাফ বলে পরিচয় দিচ্ছিল। এ কারণে অভিযানের সময় হাসপাতালের সব স্টাফকেও তল্লাশি করা হয়েছে।
অভিযানের পর কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কিছু ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেসব ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানে ওই হাসপাতাল ও আশপাশের ভবনগুলোর বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কামাল আদওয়ান হাসপাতালে কর্মরত মায়েসুন এলিয়ান নামের একজন নার্স রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃতদের নগ্ন করে ধরে নিয়ে গেছে ইসরাইলি সেনারা।
তিনি বলেন, যাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তারা সবাই হাসপাতাল চত্বরে আশ্রিত অবস্থায় ছিল। তারা (সেনাবাহিনী) হাসপাতাল চত্বরে ঢোকার পর প্রথমে নারী ও পুরুষদের পাশাপাশি পৃথক দু’টি সারিতে দাঁড় করিয়েছে, তারপর সবার সামনে সারিতে দাঁড়ানো প্রত্যেক পুরুষকে নগ্ন করেছে। সেই অবস্থাতেই তাদের গ্রেফতার করে গাড়িতে তোলা হয়েছে।
তবে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেয়া ওই ইসরাইলি সেনা দাবি করেছেন, অভিযানে হাসপাতালের সীমিত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হাসপাতালে তল্লাশি চালানোর সময় সেখানকার স্টাফ এবং আশ্রিত পুরুষদের নগ্ন করার বিষয়টি স্বীকার করে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘তল্লাশি চালানোর সময় তাদের নগ্ন করা হয়েছিল। তবে পরে তাদেরকে কাপড় ফেরত দেয়া হয়েছে।’
ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় হাসপাতালের জেনারেটর এবং অক্সিজেন স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
