
নিউ ইয়র্ক টাইমসে শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রবন্ধে হিলারি ক্লিনটন ট্রাম্প প্রশাসনকে “মূর্খ” এবং “অসতর্ক” বলে তীব্র সমালোচনা করেছেন। সিগনাল চ্যাট লিক নিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা মার্কিন সেনাবাহিনীর পরিকল্পনা একটি বাণিজ্যিক মেসেজিং অ্যাপে শেয়ার করেছেন এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে একটি সাংবাদিককে এই চ্যাটে অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক এবং মূর্খ কাজ ছিল।
ক্লিনটন লিখেছেন, “এটি হিপোক্র্যাসি নিয়ে নয়, এটি মূর্খতার ব্যাপারে। আমরা সবাই অবাক, অবাক! যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার দল আসলে গোপনীয় তথ্য বা ফেডারেল রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণের আইন নিয়ে কোনো পরোয়া করে না, তা জানতাম। কিন্তু আরও খারাপ হলো, শীর্ষ কর্মকর্তারা আমাদের সেনাদের বিপদে ফেলে সেনা পরিকল্পনা একটি বাণিজ্যিক মেসেজিং অ্যাপে শেয়ার করেছেন। এটি বিপজ্জনক এবং মূর্খ।”
ক্লিনটন আরও বলেন, “আমি এর আগে পোস্ট করেছি, ‘আপনি মজা করছেন তো?’ যখন The Atlantic থেকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গ্রুপ ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা ইয়েমেন হামলা নিয়ে একটি চ্যাটে ভুলভাবে একটি সাংবাদিককে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।”
ক্লিনটন তার প্রবন্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন নীতি এবং কর্মসূচি নিয়ে আক্রমণ করেন, বিশেষ করে ইউএসএআইডি (USAID) হ্রাস, দূতাবাস এবং কনস্যুলেট বন্ধ করা, এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে কর্মী ছাঁটাই নিয়ে। তিনি এসব সিদ্ধান্তকে “মূর্খ” এবং “বিপজ্জনক” বলে উল্লেখ করেন।
এছাড়া, ক্লিনটন তার স্বামীর সময়কালে ১৯৯০-এর দশকে “রিনভেন্টিং গভর্নমেন্ট” উদ্যোগের উল্লেখ করে বলেন, “ক্লিনটন প্রশাসন ব্যুরোক্রেসি আধুনিকীকরণ এবং খরচ সাশ্রয়ের জন্য কার্যকরী উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে ট্রাম্প প্রশাসন আজ যা করছে, তা পুরোপুরি ভিন্ন, তারা সরকারকে ধ্বংস করছে।”
এ প্রবন্ধের মাধ্যমে ক্লিনটন আবারও ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মক্ষমতা ও নীতি নিয়ে তার সমালোচনা তুলে ধরেছেন, যা গত সপ্তাহে সিগনাল চ্যাট লিক নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।