
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন নীতিতে প্রায় একই অবস্থানে রয়েছেন। ভারতীয় নাগরিকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসের বিষয়টি মোদী সরকার গুরুত্বের সাথে মোকাবিলা করার পক্ষে, তবে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করতে চান না। বিশেষ করে, ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির সমর্থন করেই মোদী কিছুটা কম মুখর ছিলেন যখন তিনি অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের বিষয়ে প্রশ্নে জবাব দেন।
২০২২ সালের শেষে পিউ রিসার্চ সেন্টারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৭ লক্ষ ভারতীয় অভিবাসী অবৈধভাবে বসবাস করছেন, যা ভারতীয়দেরকে বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম অবৈধ অভিবাসী গোষ্ঠী বানিয়েছে। তবে মোদী সরকারের পক্ষ থেকে কোনো রকম মুখোমুখি বিরোধিতার সম্ভাবনা কমানোর উদ্দেশ্যে এই বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। মোদী বলছেন, “ভারতের যুবকরা বড় স্বপ্নে বিভোর হয়ে আমেরিকায় অভিবাসী হতে আসে, এবং অনেকসময় তারা মানব পাচারের শিকার হয়ে সেখানে পৌঁছায়।”
ভারতের অভ্যন্তরে, গত কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে অবৈধ অভিবাসন এবং বিশেষত বাংলাদেশ থেকে আগত অভিবাসীদের নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। ভারতীয় বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো দাবি করছে, এই অভিবাসীরা ভারতের জনসংখ্যার উপর চাপ তৈরি করছে এবং দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও সংকটাপন্ন করছে। যদিও এই অভিযোগের পক্ষে কোনো দৃঢ় প্রমাণ নেই, তবে হিন্দু জাতীয়তাবাদী দলগুলোর মধ্যে এই বিষয়টি প্রভাব ফেলেছে এবং এটি জনগণের মধ্যে ইসলামবিরোধী আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
মোদী সরকার এবং ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতি একে অপরের সাথে মিলে যাচ্ছে, এবং দুই সরকারই অভিবাসীদের প্রতি কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী, যেমনটি ট্রাম্পের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতে চেয়েছেন, তেমনি অবৈধ অভিবাসীদের সুরক্ষা নিয়ে কোনো আন্তর্জাতিক বিতর্কেও যেতে চান না। এটি তাদের অভিবাসন নীতি এবং দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কৌশলকে দৃঢ়ভাবে প্রতিফলিত করে