
গণমাধ্যম বুধবার জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্প্রতি করা একটি চুক্তি সমালোচনা করেছে, যা তাদের মতে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে এবং জাপানকে সামরিকীকরণের দিকে ঠেলে দেবে।
উল্লেখযোগ্য এই চুক্তির মধ্যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনে একযোগ কাজ করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। এটি গত রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথের টোকিও সফরের সময় স্বাক্ষরিত হয়।
কেসিএনএ নামক রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থার মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অনামিকা উপ-মহাপরিচালক বলেছেন, এটি স্পষ্টভাবে একটি সামরিক ও আক্রমণাত্মক উদ্দেশ্যে তৈরি, যা অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোর জন্য একটি বড় নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, “এমন অস্ত্র ব্যবস্থার উন্নতি যা ইতিমধ্যেই অঞ্চলে সেনা মহড়ায় ব্যবহৃত হয়, এটি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কৌশলগত অস্থিতিশীলতার একটি নতুন উপাদান যোগ করবে।”
এছাড়া, উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নিরাপত্তা কৌশলের পরিবর্তন সম্পর্কে সতর্কতা জানিয়েছেন, যা পূর্ব এশিয়াসহ বৃহত্তর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নতুন সংকেত প্রদান করছে।
হেগসেথের সফরের সময়, তিনি জাপানকে চীনের প্রতিরোধে একটি “মৌলিক” ভূমিকা হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং তাইওয়ান প্রণালীতে বেইজিংয়ের হুমকির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
এদিকে, উত্তর কোরিয়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, দেশটি নিরাপত্তাহীনতা মোকাবিলায় তাদের সামরিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কাজ করছে।