
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বিশ্বের প্রায় সব দেশেই নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন, তবে রাশিয়াকে এই তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। ট্রাম্প তার ঘোষণায় প্রায় ৬০টি দেশের উপর অতিরিক্ত উচ্চ শুল্ক আরোপ করার কথা জানান, তবে রাশিয়া ছিল না সেই তালিকায়। এই পদক্ষেপে প্রশ্ন উঠেছে, কেন রাশিয়াকে বাদ দেওয়া হলো।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, “মস্কোর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলি কার্যকরভাবে কোনও অর্থবহ বাণিজ্যকে বাধা দিয়েছে, তাই রাশিয়ার উপর নতুন শুল্ক আরোপের প্রয়োজন নেই।” তিনি আরও যোগ করেছেন, “এদিকে, ইউক্রেন, যা যুদ্ধের কারণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, নতুন ১০% শুল্কের আওতায় পড়বে।”
উল্লেখযোগ্যভাবে, ট্রাম্প রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে চেয়েছেন, তবে মার্কিন-রাশিয়া বাণিজ্য সম্পর্ক গত কয়েক বছরে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি যথেষ্ট স্পষ্ট নয় এবং কানাডা, মেক্সিকো এবং ইউরোপের মতো বড় বাণিজ্যিক সুযোগগুলির তুলনায় রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য সম্পর্কের সুবিধা সীমিত।
রাশিয়ার শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধি কিরিল দিমিত্রিভ, যিনি ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন, বুধবার ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। তিনি এক টেলিগ্রাম পোস্টে বলেন, “নামবিহীন শক্তি Washington এবং Moscow এর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে রাশিয়ার অবস্থান বিকৃত করছে, এবং সংলাপের যেকোনো পদক্ষেপ বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।”
এই সফরটি এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়া এবং ইউক্রেনকে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিচ্ছে। ট্রাম্প তার শুল্ক ঘোষণা করার সময় বলেন, “রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে ভাল সহযোগিতা রয়েছে এবং আমি যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আগ্রহী।”
এছাড়া, ইউক্রেনের জন্য নতুন ১০% শুল্ক আরোপের ঘোষণা এসেছে, যা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবস্থানকেই প্রতিফলিত করছে।