ঢাকাশনিবার , ৫ এপ্রিল ২০২৫
  1. Global News
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন-বিচার
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. কৃষি-সংবাদ
  10. খেলা-ধুলা
  11. জাতীয়
  12. জীবনযাত্রা
  13. ধর্ম
  14. প্রবাস প্রযুক্তি
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভারতে ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নতুন আইন-মুসলিম ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপে বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিবাদ নতুন দিল্লি,

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
এপ্রিল ৫, ২০২৫ ১২:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ভারতের পার্লামেন্ট গত বৃহস্পতিবার ইসলামী দানশীল সম্পত্তি (ওয়াকফ) সম্পর্কিত একটি সংশোধিত আইন পাস করেছে, যা ব্যাপক প্রতিবাদ এবং রাজ্য-সরকারের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপের অভিযোগের জন্ম দিয়েছে।

সরকারি দাবি অনুযায়ী, এই আইনটি প্রশাসনিক ফাঁকফোকর কমিয়ে, মালিকানার বিরোধ নিষ্পত্তি, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং পাবলিক জমির দখল প্রতিরোধে সহায়ক হবে। তবে, সমালোচকরা মনে করেন, এটি মুসলিমদের নিয়ন্ত্রিত সম্পত্তি দখল করার উদ্দেশ্যেই প্রণয়ন করা হয়েছে এবং দেশের মুসলিম সংখ্যালঘু জনগণের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করবে।

ওয়াকফ হলো ইসলামী আইনের অধীনে ধর্মীয় বা দানশীল উদ্দেশ্যে দান করা সম্পত্তি, যা আল্লাহর নামে অদ্বিতীয় এবং দীর্ঘকাল ধরে সমাজের কল্যাণে ব্যবহৃত হয়। এই আইনটি আগে ১৯৯৫ সালে পাস হওয়া ওয়াকফ আইনকে সংশোধন করে, যেখানে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলো দানশীল সম্পত্তির নিয়ন্ত্রণ এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করত।

নতুন বিলটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, যেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হচ্ছে “ওয়াকফ বাই ইউজার” ধারাটি বাদ দেওয়া। এই ধারাটি আগে এমন সম্পত্তিগুলিকে ওয়াকফ হিসেবে ঘোষণা করার সুযোগ দিত, যেগুলি দীর্ঘকাল ধরে ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হলেও কোন আনুষ্ঠানিক দলিল ছিল না। এর ফলে, ঐতিহাসিক ও প্রাচীন মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান এবং অন্যান্য ধর্মীয় স্থানের মালিকানা নিয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বিলটির প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলোতে বলা হয়েছে, এখন থেকে কোনো মুসলিম যদি পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে সম্পত্তিটি ব্যবহার করেন এবং তা মালিকানা দাবি করেন, তবে তা ওয়াকফ হিসেবে ঘোষণা করা যাবে। এছাড়া, বিতর্কিত জমির মালিকানা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত এখন স্থানীয় সরকার-নিযুক্ত সংগঠকের হাতে চলে যাবে, যা ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা হ্রাস করবে।

এদিকে, বিরোধী দলগুলোর নেতারা এই বিলটিকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর আক্রমণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বিরোধী দলগুলি দাবি করেছে যে, এই আইনটি মুসলিমদের দানশীল সম্পত্তি এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারের হস্তক্ষেপ বাড়াবে, যা তাদের স্বাধীনতা ও ধর্মীয় অধিকারকে ক্ষুণ্ন করবে।

এছাড়া, নতুন আইনে ওয়াকফ বোর্ডে মুসলিমদের পাশাপাশি অমুসলিম সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে, যা অনেকেই ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর আক্রমণ হিসেবে দেখছেন। বিরোধী দলগুলোর নেতারা দাবি করেছেন, সরকার এটি দিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে।

বিলটি এখন প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর অনুমোদনের অপেক্ষায়, এবং এটি আইনে পরিণত হলে তা ব্যাপকভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় সম্পত্তি এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ বাড়াবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে।

In addition to creating news on this site, we collect news from various news sites and publish it with relevant sources. Therefore, if you have any objections or complaints about any news, you are requested to contact the authorities of the relevant news site. It is illegal to use news, photographs, audio and video from this site without permission.
আন্তর্জাতিক সর্বশেষ