ঢাকামঙ্গলবার , ৫ নভেম্বর ২০২৪
  1. Global News
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন-বিচার
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. কৃষি-সংবাদ
  10. খেলা-ধুলা
  11. জাতীয়
  12. জীবনযাত্রা
  13. ধর্ম
  14. প্রবাস প্রযুক্তি
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজু ও জনি ‘র দুর্নীতি শেষ কোথায়? ক্যাসিনো কান্ডে দুদকে অভিযোগ, রাজনৈতিক চাপে ধামাচাপা পড়েছে তদন্তের কর্মকাণ্ড 

GlobalNation
নভেম্বর ৫, ২০২৪ ৮:১৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

রাজু ও জনি ‘র দুর্নীতি শেষ কোথায়? ক্যাসিনো কান্ডে দুদকে অভিযোগ, রাজনৈতিক চাপে ধামাচাপা পড়েছে তদন্তের কর্মকাণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ক্যাসিনো দুর্নীতি সহ বিভিন্ন দুর্নীতি ও বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের জন্য জাতীয় গৃহায়ণ মিরপুর বিভাগের উপ বিভাগীয় ডিপ্লোমা প্রকৌশলী রাদিউজ্জামান রাজু ওরফে রাতুল। এর পাশাপাশি একই অফিসের দুর্নীতি ও অনিয়ম করে মোটা অংকের অর্থের সম্পদের পাহাড় গড়েছেন সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহরিয়ার জনি। মিরপুর গৃহায়ণের অফিসটি ওই দুই প্রকৌশলী কাছে জিম্মি হয়ে রয়েছে। সাধারণ কর্মকর্তার ও কর্মচারীরা অভিযোগ করে জানান, তারা দিনের পর দিন ফাইল আটকে রেখে ঘোষ বাণিজ্য করেন। তারা এই অফিসে চাকুরি শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত ঘুষ দুর্নীতি ও বিভিন্ন অনিয়ম করে সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাৎ করে নিজেরা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন। এছাড়াও ঢাকা ও ঢাকার বাহিরে অটেল সম্পদের মালিক। তারা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতিও অনিয়ম করে এখনও চাকুরিতে বহালতবিয়তে রয়েছে ।

 

ওই অফিস থেকে স্বেচ্ছায় চাকুরি ছেড়ে দেওয়া সুমন নামে ব্যক্তি জানান, রাজু ওরফে রাতুল, জনি ও প্রকৌশলী সোহেল রানা তিনজন মিলে আওয়ামীলী সরকারের আমলে প্রচুর দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। দুর্নীতির অভিযোগে প্রকৌশলী সোহেল রানাকে অবশেষে সিলেট বিভাগে বদলি করেন। অপর দুই দুর্নীতিবাজ রাজু ও জনি এখনো মিরপুর গৃহায়ণের অফিসে বহাল তবিয়তে আছেন। সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপদেষ্টা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না ? আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল তারা। তারাই আবার বর্তমানে বিএনপি ও জামাতের নাম ভাঙ্গিয়ে চাকরিতে বহাল তবিয়তে রয়েছেন । ২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বরের দুূুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত স্মারক নম্বর-০০০১.০০০০৫.০২.০১.১০১.১৯.২২৯৭৬
নোটিশের কার্যক্রম আজও অবধিঅমিংমাংসিত
রয়েছে । টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের । এর পিছনে কি রহস্য লুকিয়ে রয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে ,দীর্ঘ সময় অতিক্রম হলেও কোন তদন্তহয়নি রাদিউজ্জামান রাজু ওরফে রাতুল অভিযোগের বিষয় ।
এক সময়ের আলোচিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার চাচা,শেখ কবিরের ডান হাত হিসেবে পরিচিত রাদিউজ্জামান সিন্ডিকেটের গং।

এখন ও বহাল তবিয়তে মিরপুর গৃহায়নে কর্মরত আছেন । সংশ্লিষ্ট অফিসিয়াল মাধ্যমে জানা যায়, প্রকৌশলী রাজু নিয়ম বহির্ভূত ভাবে আট থেকে দশ বছর একই জায়গায় কর্মরত এবং প্রকৌশলী শাহরিয়ার জনি তার চেয়ে কম সময়ে চাকুরিতে কর্মরত আছেন। রাদিউজ্জামান ও শাহরিয়ার জনির অনিয়ম –দুর্নীতির তথ্য ওই অফিসের সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারী এমনকি বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে ছড়িয়ে পড়েছে ।

এক সময়ের আলেচিত ক্যাসিনো দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হলেও রয়েছেন ধরা ছোয়ার বাইরে । তাদের সিন্ডিকেট রাজধানীর মিরপুরে অবৈধভাবে নির্মিত বাড়ি,জমি জায়গা সংক্রান্ত বিষয় গুলো ধামাচাপা দিয়ে অথবা কাগজে সংশোধন করে দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই চক্রটি ।
এই চক্রের সদস্যদের পরিবারসহ বিলাস বহুল জীবন যাপনের নমুনাও দেখা যায়। ঢাকার মিরপুর সহ ঢাকার বাহিরেও রয়েছে নামে ও বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ । একাধিক সূত্রে অভিযোগে জানা গেছে , দুদকের ক্যাসিনো মামলাটি ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ফাইল টি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে ‌।

ভুক্তভোগী একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্লোবাল ন্যাশনকে বলেন, বিগত সরকারের আমলে আমার এক আত্মীয়ের প্লটের ত্রুটি দেখিয়ে ২ কোটি টাকা নিয়েছেন। তারা প্রতিদিনই কোন না কোন সমস্যা দেখিয়ে সমাধানের জন্য, তারা হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা ।

ক্যাসিনো দুর্নীতিসহ অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনে নোটিশ কারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান । পরবর্তীতে তিনি নিজেই প্রকাশ করেন এবং বলেন, বিষয়টি রাজনৈতিক ভাবে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে ।পরে তিনি মূল ঘটনাটি খুলে বলেন । ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ফাইলটি গোপন রাখতে বাধ্য হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি অভিযোগটি অস্বীকার করেন । তিনি বলেন, মামলাটি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি । বর্তমানে আবারো তদন্ত হচ্ছে তদন্তের শেষে বিস্তারিত জানো হবে ।
অভিযুক্ত কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিষয়টি রাজনৈতিক ভাবে মামলাটি হয়েছে। তবে ওই বিষয়ের সাথে আমি জড়িত নয়। এখন দুদকের কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন তারা যে রিপোর্ট দিবে সেই রিপোর্টের উপরে নির্ভর আছি। এই বিষয়ে কোন প্রকার টাকা লেনদেন করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন ।

নোটিসের পরিবর্তে অফিস থেকে চিঠি পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন থাকলেও আমি আপনাকে কেন দিব । সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এবং গ্রাহকদের অভিযোগ এইসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এই অফিসে থাকলে গ্রাহকরা দেউলিয়া হয়ে যাবেন। তাই সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপদেষ্টা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে আমাদের আকুল আবেদন এসব দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি ।

In addition to creating news on this site, we collect news from various news sites and publish it with relevant sources. Therefore, if you have any objections or complaints about any news, you are requested to contact the authorities of the relevant news site. It is illegal to use news, photographs, audio and video from this site without permission.