
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শরীয়তপুরের প্রত্যন্ত চরাঞ্চল কাঁচিকাটায় বিশাল জনসমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের মুন্সিবাজার এলাকায় আয়োজিত এই জনসমাবেশে অন্তত পাঁচ হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন, যা সভাস্থলকে জনস্রোতে রূপ দেয়।
বিএনপির পুনর্জাগরণ ও ব্যাপক অংশগ্রহণ
স্থানীয় বিএনপি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের শাসনামলে দীর্ঘদিন ধরে নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি ছিল জেলার বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। মিছিল-মিটিং করতে না পারা, মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার ও কারাবাসের কারণে তারা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। তবে গত ৫ আগস্ট বিএনপির আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শরীয়তপুর বিএনপি নতুন করে সক্রিয় হয়ে ওঠে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যখন রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ঘোষণা দেন, তখন সেই দফাগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাঁচিকাটায় এই জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়। দুপুর গড়াতেই পদ্মা নদী বেষ্টিত এই প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে নেতাকর্মীরা ফেস্টুন, ব্যানার হাতে এবং ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ট্রলার ও পায়ে হেঁটে সভাস্থলে উপস্থিত হতে থাকেন। তাদের বিপুল অংশগ্রহণে মুহূর্তেই সভাস্থল জনস্রোতে পরিণত হয়।
জনসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব সফিকুর রহমান কিরণ। তিনি বলেন, “সংসদ নির্বাচন সর্বপ্রথম প্রয়োজনীয়। যে দল ক্ষমতায় আসবে, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে কিভাবে স্থানীয় নির্বাচন পরিচালিত হবে। এটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব নয়। অচিরেই সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হোক এবং সেই নির্বাচন সর্বদলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হোক। একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ীরা রাষ্ট্রক্ষমতায় যাবে এবং তারাই সংসদ গঠন করবে, যেখানে পরবর্তী সময়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা হবে।”
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।
কাঁচিকাটা বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির মোয়াল্লেম বেপারীর সভাপতিত্বে আয়োজিত এই জনসমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম এ হামিদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান মুকুল, নড়িয়া বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর, সখিপুর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মোজহারুল ইসলাম সরদারসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।