
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে ইতিবাচক অগ্রগতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। শনিবার রুশ টেলিভিশন সঞ্চালক পাভেল জারুবিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
“সবকিছুই অনেক ভালোভাবে এগোচ্ছে,” বলেন পেসকভ।
তিনি আরও বলেন,
“সম্পর্ককে একেবারে নতুন করে গড়ে তোলা অত্যন্ত জটিল একটি কাজ। এতে কূটনৈতিক এবং অন্যান্য পর্যায়ে তীব্র প্রচেষ্টা প্রয়োজন।”
ধাপে ধাপে বিশ্বাস পুনঃস্থাপন
পেসকভ ব্যাখ্যা করেন যে, এই প্রক্রিয়া মূলত ছোট ছোট পদক্ষেপের মাধ্যমে গঠিত—যার উদ্দেশ্য অন্তত ন্যূনতম পারস্পরিক বিশ্বাস পুনরায় সৃষ্টি করা এবং তা শক্তিশালী করা।
“এই মুহূর্তে বিশেষ সংস্থাগুলো এই কাজগুলো করছে,” উল্লেখ করেন তিনি।
তাঁর ভাষ্যমতে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ চলছে।
কূটনৈতিক মিশনের কার্যক্রম পুনরায় চালুর আলোচনা
পেসকভ জানান, আলোচনায় একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশনগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় চালুর বিষয়টি।
“এই আলোচনায় অনেক সূক্ষ্ম দিক রয়েছে, যেগুলো একাধিক স্তরে সমাধানের প্রক্রিয়ায় রয়েছে,” তিনি যোগ করেন।
প্রেক্ষাপট
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চরম উত্তেজনাকর পর্যায়ে পৌঁছে যায়। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ও কূটনৈতিক দূরত্ব সেই সম্পর্ককে আরও সংকটময় করে তোলে। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের এই উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছেন।
বিশ্লেষকদের অভিমত
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরণের কূটনৈতিক অগ্রগতি ভবিষ্যতে ইউক্রেন সংকটসহ বৈশ্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতে সমঝোতার ভিত্তি তৈরি করতে পারে। তবে, এটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং বাস্তব অগ্রগতি নির্ভর করবে পারস্পরিক সদিচ্ছা ও রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তির উপর।