
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নতুন মেমোরেন্ডামে দক্ষিণ সীমান্ত সুরক্ষায় সেনাবাহিনীকে আরও সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশনা অনুযায়ী, ক্যালিফোর্নিয়া, নিউ মেক্সিকো এবং অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের সীমান্তবর্তী ফেডারেল জমির একটি ৬০ ফুট গভীর ও বিস্তৃত সরু ভূখণ্ড — যেটিকে “রুজভেল্ট রিজার্ভেশন” নামে চিহ্নিত করা হয়েছে — তা এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘সামরিক এলাকা’ হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
“জাতীয় প্রতিরক্ষা এলাকা” ঘোষণা
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের ফলে রুজভেল্ট রিজার্ভেশন-এ ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স এরিয়া’ গঠিত হবে, যেখানে সীমান্ত প্রহরা, নজরদারি যন্ত্রপাতি স্থাপন, এবং প্রাচীর নির্মাণসহ বিভিন্ন সামরিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
ট্রাম্প বলেন, “আমাদের দক্ষিণ সীমান্ত বহুমাত্রিক হুমকির সম্মুখীন। এই পরিস্থিতির জটিলতা বিবেচনায় আমাদের সেনাবাহিনীকে অতীতের তুলনায় আরও সরাসরি ভূমিকা নিতে হবে।”
সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নির্দেশ
এই নির্দেশনায় প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, কৃষি ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তরকে ঐ অঞ্চলে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ফেডারেল জমি বরাদ্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, আদিবাসী জমিগুলো (Federal Indian Reservations) এই সিদ্ধান্তের আওতার বাইরে থাকবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এখন থেকে নির্ধারণ করবে, কোন সামরিক পদক্ষেপগুলো সীমান্ত সুরক্ষার জন্য ‘যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয়’ বলে বিবেচিত হবে।
রুজভেল্ট রিজার্ভেশন: ইতিহাসের পটভূমি
এই রিজার্ভেশন প্রথম তৈরি করা হয়েছিল ১৯০৭ সালে প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের আমলে। এর উদ্দেশ্য ছিল সীমান্ত এলাকায় ফেডারেল উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং অবৈধ প্রবেশ ঠেকানো।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ?
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারে সীমান্ত সুরক্ষা ও ‘মাস ডিপোর্টেশন’-এর প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছেন। দক্ষিণ সীমান্তে কড়া নজরদারি ও সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে তাঁর প্রশাসন অভিবাসন বিরোধী অবস্থানকে আরও জোরদার করতে চাইছে।