
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে লেখা হয় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বুধবার জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকার “নিরাপত্তা অঞ্চলগুলোতে” ইসরায়েলি সেনাবাহিনী যে কোনও “অস্থায়ী বা স্থায়ী পরিস্থিতিতেও” অবস্থান করবে।
এক বিবৃতিতে কাটজ বলেন,
“আগের মতো করে (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) আর দখল করা এলাকা ত্যাগ করছে না। সেনাবাহিনী থাকবে নিরাপত্তা অঞ্চলে, শত্রু ও (ইসরায়েলি) জনপদের মাঝে একটি বাফার হিসেবে—যেমনটি লেবানন ও সিরিয়ায় রয়েছে।”
তিনি স্বীকার করেন, অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে ইসরায়েল লক্ষাধিক গাজাবাসীকে গৃহচ্যুত করেছে, এবং ধীরে ধীরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অনেক অংশ দখল করে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন,
“ইসরায়েলের নীতিমালা স্পষ্ট: গাজায় কোনো মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এই সহায়তা বন্ধ রাখাই হামাসকে চাপ দেওয়ার একটি প্রধান কৌশল—তারা যেন জনগণের ওপর এটি ব্যবহার করতে না পারে।”
২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজার সব সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে, ফলে খাদ্য, পানি, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
১৮ মার্চ, এক অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির পরেও ইসরায়েল নতুন করে ভয়াবহ হামলা শুরু করে গাজায়, যা জানুয়ারিতে কার্যকর হয়েছিল।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর ২০২৩ থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৫১,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
গত নভেম্বরে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্ট-এর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
এছাড়াও, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ICJ) একটি মামলাও চলছে।