
আলজাজীরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে -গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১,০৬৫ জনে, জানিয়েছে গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া আহত হয়েছেন ১,১৬,৫০৫ জন। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত এবং ৭৩ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর শুরু হয় এই সহিংসতা। এরপর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সই হওয়া এক অস্ত্রবিরতির চুক্তি ১৮ মার্চ ২০২৫-এ ইসরায়েল ভেঙে পুনরায় বোমাবর্ষণ শুরু করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১,৬৯১ জন নিহত এবং ৪,৪৬৪ জন আহত হয়েছেন।
একইসঙ্গে জানা গেছে, দখলকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি বন্দীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ‘বন্দী দিবস’ পালন করছে ফিলিস্তিনিরা। এ সময় ইসরায়েলি কারাগারে ২০ বছর বয়সী এক যুবক মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, বুধবার সকাল থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে আরও বিধ্বংসী হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ১৮ মার্চের অস্ত্রবিরতি ভঙ্গের পর থেকে প্রায় ৫ লাখ মানুষ আবারও গাজায় ঘরছাড়া হয়েছেন, যাদের কেউ কেউ এর আগেও একাধিকবার বাস্তুহীন হয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, “ইসরায়েলের নীতি পরিষ্কার— গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশ ঠেকানো হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগের একটি ‘অস্ত্র’।”
এদিকে, গাজার সরকার পরিচালিত মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, মৃতের প্রকৃত সংখ্যা ৬১,৭০০ ছাড়িয়ে গেছে, কারণ ধ্বংসস্তুপের নিচে থাকা হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ, এবং তাদের অনেকেই মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত হন, এবং ২০০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করা হয়।