
ঢাকার কাছে গাজীপুরের জনপ্রিয় পশুর বাজারেও বড় গরুর ক্রেতা নেই
কোরবানির ঈদ সামনে। তবে রাজধানীর অদূরে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় অবস্থিত আমরাইদ গরুর হাট এখনো তেমন জমে ওঠেনি। তবে প্রতি মঙ্গলবার সাপ্তাহিক গরুর হাট বসে ঢাকা–কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পূর্ব পাশে। এই হাট ঢাকার কাছাকাছি হওয়ায় অনেক ক্রেতা সরাসরি এখানে কোরবানির পশু কিনতে আসেন। বিভিন্ন ব্যবসায়ীও এখান থেকে গরু ও মহিষ কিনে রাজধানীর বিভিন্ন হাটে নিয়ে বিক্রি করেন, এতে তাদের পরিবহন খরচ অনেকটাই সাশ্রয় হয়।
গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ, শ্রীপুর, কালিয়াকৈর ছাড়াও কিশোরগঞ্জের মনোহরদী, শিবপুর এবং ময়মনসিংহের পাগলা, ভালুকা, গফরগাঁও থেকে ব্যাপক হারে গরু ও মহিষ আসে এই বাজারে। পিকআপ ভ্যানে করে ভোর থেকেই বিক্রেতারা পশু নিয়ে হাটে আসতে শুরু করেন।
তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, এবার বাজারে ছোট থেকে মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। বড় গরুর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ কম। অনেক বিক্রেতাই হতাশা প্রকাশ করেছেন।
মঠখোলা বাজার এলাকার মনির হোসেন, যিনি কোরবানির গরু কিনতে এসেছেন, তিনি জানান:
“দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সব জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। বেতনের সাথে মেলে না খরচ। বাধ্য হয়ে জমানো টাকা খরচ করে ফেলেছি। এবার বড় গরু কেনা হবে না। আজ হাটে এসেছি দেখি, যদি সামনে দামে কিছুটা সুবিধা হয় তবে গরু কিনবো, না হলে খাসি কোরবানি দেব।”
বিক্রেতা রফিক আজম, যিনি মনোহরদী থেকে চারটি গরু এনেছেন (দুটি বাহামা ও দুটি সিন্ধি), বলেন:
“বাজারে মানুষ আসছে, কিন্তু বড় গরুর দিকে তেমন কেউ তাকাচ্ছে না। মধ্যবিত্তরা মূলত ছোট গরু খুঁজছেন।”
অন্য এক বিক্রেতা মাসুদ বলেন, “আমি দিনাজপুর থেকে গরু কিনে এনে আমরাইদ বাজারে বিক্রি করি। আগে ভালো লাভ থাকত, এখন লাভ হচ্ছে কম।”
গরু পাইকার মনজুরুল ইসলাম, যিনি দিনাজপুর, জয়পুরহাট ও পাকুন্দিয়া থেকে গরু কিনে এখানে বিক্রি করেন, তিনিও জানান যে বড় গরুর বিক্রি এবার তুলনামূলকভাবে কম।
তবে সবকিছুর পরও অনেকেই আমরাইদ বাজার কমিটি ও ইজারাদারের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেছেন। হাটে নিরাপত্তা ও পশু রাখার স্থান সুষ্ঠু থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতারা কিছুটা স্বস্তিতে আছেন।