
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়েন সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামের সঙ্গে বার্লিনে সাক্ষাৎ করেছেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে তারা যৌথভাবে চাপ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
ইউরোপীয় কমিশনের বৈঠক-পরবর্তী এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “রাশিয়ার ইউক্রেনে চলমান আগ্রাসনের জবাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সমন্বয় বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “চাপ প্রয়োগ কার্যকর হয়, কারণ ক্রেমলিন অন্য কিছু বোঝে না। এ কারণে প্রেসিডেন্ট (ফন ডার লেয়েন) সন্তুষ্ট যে সিনেটর গ্রাহাম রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর এবং মার্কিন সিনেটে আগামী সপ্তাহে বিলটি এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।”
সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম একটি প্রস্তাব দিয়েছেন, যার ফলে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি করা দেশগুলোর ওপর ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। ইউরোপের কিছু অংশে এই প্রস্তাব আগ্রহের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, সম্ভাব্য একটি মডেল হিসেবে।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার ওপর ১৮তম দফার নিষেধাজ্ঞা প্রস্তুত করছে, যদিও কূটনীতিকরা স্বীকার করেছেন, মস্কোকে নতুন করে কোন খাতে আঘাত করা যায় তা নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে।
নতুন ইইউ নিষেধাজ্ঞাগুলোর মধ্যে থাকবে বাল্টিক সাগরের পরিত্যক্ত গ্যাস পাইপলাইন নর্ড স্ট্রিম ১ ও ২-এর ওপর আঘাত—যাতে ভবিষ্যতে এগুলো আবার চালু করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। একই সঙ্গে আরও ছায়া জাহাজ (shadow fleet) তালিকাভুক্ত করা, রাশিয়ান তেলের মূল্যসীমা আরও কমানো, এবং রাশিয়ার আর্থিক খাতের ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ভন ডার লেয়েন বলেন, “এই পদক্ষেপগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে মিলিয়ে নিলে যৌথভাবে আমাদের চাপ অনেক বেশি কার্যকর হবে। রাশিয়ার ছায়া জাহাজ ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে চালানো পদক্ষেপের সঙ্গে মিলিয়ে এটি ক্রেমলিনের যুদ্ধ তহবিল শুকিয়ে ফেলার একটি কার্যকর কৌশল।”
এই বৈঠকটি এমন সময় অনুষ্ঠিত হলো, যখন ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা তুরস্কে নতুন এক দফা শান্তি আলোচনায় বসেছেন।