
ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধবন্দি বিনিময়ে সম্মত হয়েছে। বৈঠকের পর এক অনলাইন সংবাদ ব্রিফিংয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, উভয় পক্ষ ১,০০০ জন করে মোট ২,০০০ যুদ্ধবন্দি বিনিময়ে সম্মত হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত আরও ২০০ বন্দি মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
জেলেনস্কি বলেন, “আমাদের প্রতিনিধিরা রাশিয়ান পক্ষের কাছে প্রায় ৪০০ ইউক্রেনীয় শিশুর একটি তালিকা হস্তান্তর করেছে, যাদের জোরপূর্বক রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং আমরা চাই তারা দেশে ফিরে আসুক।” তবে রাশিয়া প্রাথমিকভাবে মাত্র ১০ জন শিশুকে ফেরত পাঠাতে সম্মত হয়েছে, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনীয় পক্ষ।
তিনি আরও জানান, ইউক্রেন সম্প্রতি ‘অপারেশন স্পাইডারের ওয়েব’ নামের একটি সামরিক অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে। এই অভিযানে রাশিয়ার দখলকৃত এলাকায় নজরদারি ও আক্রমণাত্মক কৌশল প্রয়োগ করে ইউক্রেনীয় সেনারা সামরিক সুবিধা অর্জন করেছে। এতে মিত্র দেশগুলোর আস্থা পুনরায় দৃঢ় হয়েছে বলে দাবি করেন জেলেনস্কি।
বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধের চলমান তীব্রতা ও মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে এই বন্দি বিনিময় কূটনৈতিক ক্ষেত্রে একটি তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি। যদিও শিশুবন্দিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে রাশিয়ার সীমিত সহযোগিতা গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। তবুও এই আলোচনাকে ভবিষ্যৎ শান্তি প্রক্রিয়ার সম্ভাব্য সূচনা হিসেবে দেখছেন অনেকেই।