
পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী করাচিতে একাধিক ভূমিকম্পের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে ২০০-র বেশি কয়েদি একটি কারাগার থেকে পালিয়ে যায় বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
সিন্ধু প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া-উল-হাসান লাঞ্জার মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, মালির কারাগারের ৬০০-র বেশি কয়েদিকে ভূমিকম্পের পর তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে কারাগারের অন্য একটি অংশে স্থানান্তর করা হচ্ছিল। সে সময় কিছু কয়েদি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
কারা সুপারিনটেনডেন্ট আর্শাদ শাহ করাচিতে সাংবাদিকদের বলেন, “এখন পর্যন্ত ৮০ জন পালানো কয়েদিকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ১৩৬ জনকে ধরার জন্য অভিযান চলছে।”
লাঞ্জার আরও জানান, সোমবার রাতের ওই বিশৃঙ্খলার মধ্যে একজন কয়েদি নিহত হয়েছে এবং ২২ জন আহত হয়েছে— যাদের মধ্যে কারা ও পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
সিন্ধু প্রদেশের পুলিশ প্রধান গুলাম নবী মেমন বলেন, পালিয়ে যাওয়া কয়েদিদের অধিকাংশই মাদক মামলাসহ অপেক্ষাকৃত ছোট অপরাধে অভিযুক্ত।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের কাছে স্পষ্ট তালিকা আছে কারা কারা পালিয়েছে। তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। কেন ও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল— সে বিষয়ে তদন্ত হবে।”
সিন্ধুর তথ্য মন্ত্রী শারজিল ইনাম মেমন জানান, যারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বেচ্ছায় ফিরে আসবে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে না। তবে যারা ফিরবে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে।
পাকিস্তানের জাতীয় ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় করাচিতে একাধিক হালকা ও অগভীর ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, যার মাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩.৪।
পাকিস্তানে এমন কারাগার পালানোর ঘটনা বিরল। ২০১৩ সালে পাকিস্তানি তালেবানদের একটি কারাগারে হামলায় প্রায় ২০০ কয়েদি পালিয়ে যাওয়ার পর দেশটির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।