
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা TASS এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চলমান উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির জন্য সরাসরি সংলাপের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। মস্কো সফররত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেখবিষয়ক বিশেষ সহকারী সৈয়দ তারিক ফতেমির সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “বৈঠকে দুই পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। ফতেমি পাকিস্তান-ভারত সম্পর্কের বর্তমান অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। এ সময় রুশ পক্ষ নতুন দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে সরাসরি সংলাপের আহ্বান জানায়, যা পারস্পরিক আস্থা গঠনে সহায়ক হবে।”
বৈঠকে উভয় পক্ষ সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় জাতিসংঘ ও সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (SCO)-এর মতো আন্তর্জাতিক ফোরামে একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও ঐক্যমত্যে পৌঁছান।
সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এপ্রিলে কাশ্মীরের পাহালগামে এক সন্ত্রাসী হামলার পর, যেখানে ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালি পর্যটক নিহত হন। এর জবাবে ভারত ৭ মে “অপারেশন সিনদুর” নামে একটি সামরিক অভিযান চালায়, যেখানে পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নয়টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়। ভারত এই স্থানগুলোকে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত করে। পাকিস্তান পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় জবাব দেয়।
এই রক্তক্ষয়ী উত্তেজনার মধ্যেই ১০ মে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় এবং সীমান্ত অঞ্চলে সেনা কমানোর বিষয়ে আলোচনা শুরু করে।
রাশিয়া, যেটি ঐতিহ্যগতভাবে ভারত ও পাকিস্তান—উভয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে, দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতার ভূমিকা রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ল্যাভরভের এই আহ্বান সেই উদ্যোগেরই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।