
কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির শরীয়তপুর জেলা শাখার উদ্যোগে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং কবর জিয়ারত, দোয়া মোনাজাত কর্মসূচি বাস্তবায়ন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) পৃথক পৃথক ভাবে তিন জন শহীদ পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং পরিবারের খোঁজখবর নেন ও কবর জিয়ারত, দোয়া মোনাজাত করেন জেলার নেতৃবৃন্দরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি সাখাওয়াত কাউসার, জেলা সেক্রেটারি কামরুজ্জামান কাউসার, জেলা সাহিত্য সম্পাদক সাইদুর রহমান ও স্থানীয় থানার নেতৃবৃন্দ।
জুলাই অভ্যুত্থানের যে তিন জন শহীদের কবর জিয়ারত করেন তারা হলেন শহীদ রিয়াজুল ইসলাম, শহীদ মামুন মিয়া, শহীদ মীর মোহাম্মদ আল-আমিন।
উল্লেখ্য, শহীদ রিয়াজুল ইসলাম ২০২৪ সালের ০৪ আগষ্ট ঢাকায় যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনরত অবস্থায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। পরে শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়নের আবুড়ায় নিজ গ্রামে তাকে দাফন করা হয়।
শহীদ রিয়াজুল ইসলাম এর ২ সন্তান। ছেলের বয়স ৪ বছর এবং মেয়ের বয়স ৫ বছর, তারা বর্তমানে তাদের দাদা বাড়ীতে লালিত পালিত হচ্ছেন। তাদের মা নেই, বাবা-মা হারিয়ে ২ ভাই-বোন নিদারুণ একা দিনাযাপন করছেন।
উল্লেখ্য, শহীদ মামুন মিয়া ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই ঢাকায় মিরপুরে আন্দোলনরত অবস্থায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। পরে শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়নের উত্তর গ্রাম চিকন্দী নিজ গ্রামে তাকে দাফন করা হয়।
শহীদ মামুন মিয়া তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের (১৭-১৮) বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি মাস্টার্স (এমএ) করছিলেন এবং একইসঙ্গে একটি অনলাইন পণ্য বিক্রির প্রতিষ্ঠানেও কাজ করতেন। ২০২৪ এর ৭ আগস্ট তিতুমীর কলেজে ছাত্রলীগ চত্বরের নাম পরিবর্তন করে শহীদ মামুন চত্বর রাখা হয় এবং তার স্মরণে তিতুমীর কলেজ গত ১ জুলাই শহীদ মামুন মিয়া ছাত্রাবাস এর নামকরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, শহীদ মীর মোহাম্মদ আল আমিন ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট বিজয় মিছিলে গিয়ে ঢাকায় সাভারের বাইপাইল রোডে গুলিবৃদ্ধ হন ১২ দিন পরে শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মরদেহ খুঁজে পায় স্বজনরা। রোববার ১৮ আগষ্ বাদ আসর শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বিঝারী ইউনিয়নের দক্ষিন মগর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।