
দেশে ফেরার পর বিজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা জানাবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
নারী দলকে সংবর্ধনা দেয়ার ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ নারী দলকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তবে এরপর মুঠোফোনেও তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
খেলাধুলা ডেস্ক :
দেশে ফেরার পর বিজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা জানাবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (৩০ অক্টোবর) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে সাফজয়ী নারী দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নবনির্বাচিত সভাপতি তাবিথ আউয়াল। নারীদের বিজয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা বিসিবিও।
বুধবার দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালের হাজার হাজার দর্শককে স্তব্ধ করে টানা দ্বিতীয় বারের মতো নারীদের সাফে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। ম্যাচে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে সাবিনা খাতুনের দল।
ম্যাড়মেড়ে প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে খেলা জমে উঠে। ৫২ মিনিটে লিড নেয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। তহুরা-সাবিনা খাতুনের বল আদান প্রদান শেষে মনিকা চাকমা ডি বক্সের ডানপ্রান্ত থেকে আড়াআড়ি শটে নেপালি গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন। গোল শোধ করতে বেশিক্ষণ লাগেনি স্বাগতিকদের। মিনিট দুয়েকের মধ্যেই তারা বাংলাদেশের জালে বল ঢোকায়। আমিশার নেয়া শটে রূপনা চাকমা পড়ে না গেলে হয়তো লাল সবুজের বাঁচাতে পারতেন
৮১ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠে বাংলাদেশ। সতীর্থের কাছ থেকে কর্নার কিক-জোনে বল ঋতুপর্না চাকমা। তাতে টেক্কা দিচ্ছিলেন নেপালের দুই প্লেয়ার। সেখান থেকেই শট নেন ঋতু। নেপাল গোলরক্ষক হাত লাগাতে সক্ষম হলেও বলের গতিরোধ করতে পারেননি, বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ২-১ গোলে।
শেষদিকে উভয় দলই আরও কয়েকটি আক্রমণ শানায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউই আর জালের দেখা পায়নি। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় সাবিনা খাতুনদের উল্লাস।