
বিলুপ্তের পথে প্রাচীন মাছ ধরার পদ্ধতি ভেসাল জাল।
ফিচার ডেস্ক :
কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীন জনগোষ্ঠীর সেই প্রিয় ভেসাল জাল দিয়ে মাছ ধরা তেমন দেখা যায় না।
গ্রামের অঞ্চলের জেলেদের ভেসাল দিয়ে মাছ ধরার পদ্ধতি এখন খালবিলে ভেসাল চোখে পরেনা। শতাব্দী ধরে সেই ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণঞ্চলের নদনদী গুলো এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সভ্যতার বিবর্তনে নদীমাতৃক অঞ্চলগুলো শুকিয়ে মরুভূমি প্রায়।
একটা সময় দেশের দক্ষিণঞ্চলের জেলাগুলোতে খালে বর্ষার মৌসুম এলে ভেসাল দিয়ে মাছ শিকার করতে জেলেরা। মৎস্যজীবীদের ভেসালে ঝাক বেধে উঠতো নানান জাতের দেশীয় প্রজাতির মাছ। প্রাকৃতিক জলাশয় হয়ে থাকা খালগুলোর মাঝে বাঁশ পুঁতে টানিয়ে রাখা হতো জাল। আর জালের পাশে বানানো ছোট একটি মাচাং পাশেই বাঁশের সঙ্গে খুঁটিতে বেধে রাখা হতো ডিঙি নৌকা।
ভোরবেলায় মৎস্য শিকারীরা ভেসালে এসে ভরদুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করতেন। পাড়ে দাঁড়িয়ে অনেকই চেয়ে চেয়ে দেখতেন মাছধরা।
জেলের মাছ ধরার শেষে বিভিন্ন হাটবাজারে সেই মাছ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন অনেক পরিবার।
গ্রাম অঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে এই জালটির নাম শোনা যায় বিভিন্ন নামে যেমন। টেকজাল, বেগজাল, বেয়াল, ইত্যাদি আবার কোথাও ডাকা হয় টোঙ্গা ও বেহাইল নামে। মাছ ধরার কৌশলগুলির মধ্যে রয়েছে
বৃহত্তম ফরিদপুরের সাব ডিভিশনর জেলা রাজবাড়ী গোপালগঞ্জ মাদারীপুর ও শরিয়তপুর জেলার যেখানে শত শত বছর ধরে জেলেদের মাছ ধরার প্রধান পদ্ধতি হচ্ছে ভেসাল। গত কয়েক বছরের শতশত খাল দখল করা হয়েছে তাই এখন আর স্বচ্ছ পানি নদী থেকে জোরায় আসে না বেদায়। খাল গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে এবং ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
দক্ষিণ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী নদীগুলো হচ্ছে কুমার নদী, কীতিনাশা নদী, পালং নদী ও ভাঁওর নদী ইত্যাদি। বর্তমানে নদীমাতৃক অঞ্চল গুলোতে জেলেদের মাছ ধরার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে যেমন বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে। অন্যদিকে বাণিজ্যিক জেলেরা লাভের জন্য মাছ ধরে। বিভিন্ন ফসলি জমিন কেটে মাছের ঘের খামার তৈরিতে ব্যস্ত মৎস্যজীবীরা
বিনোদনমূলক, কারিগর জেলেরা বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে, এছাড়াও, কখনও কখনও, নদীতে মাছ ধরার কৌশল ব্যবহার করে। কারিগর জেলেরা উন্নয়নশীল দেশে বেঁচে থাকার জন্য এবং অন্যান্য দেশে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ঐতিহ্যগত, স্বল্প-প্রযুক্তির পদ্ধতি ব্যবহার করে বেশিরভাগ, জেলেরা অ্যাঙ্গলিং পদ্ধতি ব্যবহার করে এবং বাণিজ্যিক জেলেরা জাল দেওয়ার পদ্ধতি ব্যবহার করে।
বিভিন্ন মাছ ধরার কৌশল এবং মাছ সম্পর্কে জ্ঞান এবং তাদের আচরণের মধ্যে একটি জটিল যোগসূত্র রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে অভিবাসন , চরা আবাসস্থল। মাছ ধরার কৌশলগুলির কার্যকর ব্যবহার প্রায়শই এই অতিরিক্ত জ্ঞানের উপর নির্ভর করে। কোন কৌশলগুলি উপযুক্ত তা মূলত লক্ষ্য প্রজাতি এবং এর আবাসস্থল দ্বারা নির্ধারিত হয়।
মাছ ধরার কৌশলগুলি মাছ ধরার ট্যাকলের সাথে বিপরীত হতে পারে । ফিশিং ট্যাকল বলতে বোঝায় যে ফিজিক্যাল ইকুইপমেন্ট যা মাছ ধরার সময় ব্যবহার করা হয়, যেখানে ফিশিং কৌশল বলতে বোঝায় যেভাবে মাছ ধরার সময় ট্যাকল ব্যবহার করা হয়।