
চীনের কিছু আমদানিকৃত পণ্যে এখন সর্বোচ্চ ২৪৫% হারে ট্যারিফ আরোপ করা হয়েছে বলে বুধবার নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি তথ্যপত্রে বলা হয়, চীনা পণ্যে বর্তমানে সর্বোচ্চ ২৪৫% পর্যন্ত ট্যারিফ কার্যকর রয়েছে—যা আগে উল্লেখ করা ১৪৫% সর্বোচ্চ সীমার চেয়েও অনেক বেশি। এই হার ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃক চলতি মাসে আরোপিত ১২৫% প্রতিশোধমূলক ট্যারিফের পাশাপাশি অতিরিক্ত ২০% ফেন্টানিল-সম্পর্কিত ট্যারিফকে অন্তর্ভুক্ত করে।
ওই কর্মকর্তা জানান, কিছু পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে যেগুলোকে সেকশন ৩০১ ট্যারিফ বলা হয়। এই ট্যারিফ মূলত অবৈধ ও অন্যায্য বাণিজ্য অনুশীলনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ। এই ধরনের শুল্ক ৭.৫% থেকে শুরু করে ১০০% পর্যন্ত হয়ে থাকে, ফলে কিছু চীনা পণ্যে বর্তমানে সর্বমোট ২৪৫% পর্যন্ত ট্যারিফ আরোপিত হচ্ছে।
একজন হোয়াইট হাউস কর্মকর্তা বলেন, “ইলেকট্রিক গাড়ি এবং সিরিঞ্জ-এর মতো পণ্যে সেকশন ৩০১ এর আওতায় ১০০% শুল্ক রয়েছে। যখন এর সঙ্গে ২০% ফেন্টানিল-সম্পর্কিত ট্যারিফ এবং ১২৫% প্রতিশোধমূলক ট্যারিফ যুক্ত হয়, তখন এই পণ্যগুলোর উপর মোট ট্যারিফ দাঁড়ায় প্রায় ২৪৫%।”
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, চীন নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য আলোচনায় এগিয়ে আসার দায়িত্ব এখন চীনের। বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ চলাকালে তিনি বলেন, “বল এখন চীনের কোর্টে। চীনের আমাদের সঙ্গে চুক্তি করা দরকার, আমাদের ওদের সঙ্গে নয়।”
তিনি আরও বলেন, “চীন আর অন্য যেকোনো দেশের মধ্যে আসলে কোনো পার্থক্য নেই—শুধু তারা অনেক বড় এবং তারা সেটা চায় যা আমাদের আছে।”
এছাড়া বুধবার সকালে ট্রাম্প জানান, জাপানের একটি প্রতিনিধিদল হোয়াইট হাউসে আসছে ট্যারিফ, সামরিক সহায়তা ও তথাকথিত “বাণিজ্য ন্যায্যতা” বিষয়ে আলোচনা করতে।
তিনি সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “আমি নিজে বৈঠকে অংশ নেব, ট্রেজারি ও বাণিজ্য সচিবদের সঙ্গে। আশা করছি, এমন কিছু কাজ করা যাবে যা জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের জন্য ভালো (চমৎকার!) হবে।”