
ঢাকা-বাংলাদেশ জানিয়ে মার্কিন পণ্যে শুল্ক কমাবে বাংলাদেশ। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বাড়ানোয় পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশ শুল্ক না বাড়িয়ে দেশটির পণ্যে শুল্ক কমানোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছেন, এবং এই তালিকায় বাংলাদেশও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সব পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যা আগে ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানির বাজারে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে এবং সরকার এখন এই বাড়তি শুল্কের প্রভাব মোকাবেলা করতে চিন্তিত।
এ পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের সরকার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে শুল্ক না বাড়িয়ে, বরং যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিচ্ছে। তবে, সব পণ্যের ওপর নয়, মাত্র ৩০ থেকে ৩৫টি মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ১০ থেকে ১২টি পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জেনারেটর, ভাল্ব, গরুর মাংস, অ্যাগ্রো আইটেম, কিছু শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি এবং বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক্যাল আইটেম। এসব পণ্যের শুল্কহার বর্তমানে ২৬.২ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত রয়েছে।
বিডা (বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ)ও কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে, যার মাধ্যমে মোট ৩০ থেকে ৩৫টি মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর উদ্যোগ নেয়া হতে পারে।
এনবিআর জানিয়েছে, সব পণ্যে শতভাগ শুল্কছাড় দেওয়া হলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে, যা প্রায় ১,১০০ কোটি টাকা হতে পারে। তবে, বাংলাদেশে সব শূন্য শুল্ক করার সম্ভাবনা আপাতত নেই। এসব প্রস্তাব বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী কালিন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।