
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনালাপের পর টেসলা ও স্পেসএক্সের সিইও এলন মাস্ক ঘোষণা করেছেন যে তিনি চলতি বছর ভারতের সফরে আসছেন নয়াদিল্লি।
শনিবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ মাস্ক লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কথা বলাটা ছিল সম্মানের। আমি এ বছর ভারতের সফরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি!”
এর একদিন আগে, প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই এক্স-এ পোস্ট করে জানান যে তিনি এলন মাস্কের সঙ্গে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি লিখেন, “@elonmusk-এর সঙ্গে কথা বললাম এবং বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করলাম, যেগুলো আমরা গত বছর ওয়াশিংটন ডিসিতে আমাদের বৈঠকে আলোচনা করেছিলাম। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনা নিয়ে কথা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
২০২৪ সালের জুনে মোদীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় দুজনের মধ্যে প্রথম সরাসরি বৈঠক হয়। সে সময় এলন মাস্ক তার তিন সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে উদ্ভাবন, মহাকাশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), ও টেকসই উন্নয়ন নিয়ে ভারত-আমেরিকার সহযোগিতা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়।
এলন মাস্কের আসন্ন সফরের প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ হলো — স্টারলিঙ্কের ভারতে ইন্টারনেট স্যাটেলাইট পরিষেবা চালুর প্রস্তুতি।
স্পেসএক্সের এই প্রকল্প বর্তমানে ভারতের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। কোম্পানিটি ইতোমধ্যে ভারতের টেলিকম জায়ান্ট জিও ও এয়ারটেলের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে। সম্প্রতি স্টারলিঙ্কের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যেখানে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রসঙ্গত, এলন মাস্ক বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ এবং ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (DOGE)-এর প্রধান হিসেবে কাজ করছেন, যার উদ্দেশ্য হলো সরকারি ব্যয় হ্রাস ও কর্মীসংখ্যা কমানো।
এলন মাস্কের আসন্ন ভারত সফর শুধু প্রযুক্তিগত নয়, কূটনৈতিক দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ। স্টারলিঙ্ক, টেসলা এবং অন্যান্য উদ্যোগের মাধ্যমে ভারতের প্রযুক্তি খাতে এক নতুন যুগের সূচনা হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।