
সিরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে, যা উত্তর কোরিয়ার জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এক সময় সিরিয়া ছিল উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র, বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনামলে। তবে আসাদের পতনের পর পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটে।
বৃহস্পতিবার দামেস্কে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো তে-ইউল এবং সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসআদ আল-শাইবানির মধ্যে এই সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে চো তে-ইউল জানান, সিরিয়ার ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠনে দক্ষিণ কোরিয়া ব্যবসা ও মানবিক সহায়তার মাধ্যমে ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, দক্ষিণ কোরিয়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
এ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া এখন জাতিসংঘের ১৯১টি সদস্য দেশের সাথেই কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করলো, যার মধ্যে ভ্যাটিকানও অন্তর্ভুক্ত। উল্লেখযোগ্যভাবে, গত বছর দক্ষিণ কোরিয়া ও কিউবার মধ্যেও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়, যা উত্তর কোরিয়ার আরেক মিত্রকে হারানোর ঘটনা ছিল।
সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল-শারা, যিনি আসাদবিরোধী বাহিনীর নেতা ছিলেন, গত ৩০ মার্চ শপথ নেন। সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা তাঁর সরকারের মূল লক্ষ্য।
অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়া নিজেও রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল অভিশংসিত হন, যিনি ডিসেম্বরে সামরিক শাসন জারি করে রাজনৈতিক সংকটের জন্ম দিয়েছিলেন। এখন দেশটি একটি অন্তর্বর্তী সরকার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এবং জুনে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।