
মুসলমানদের সব বড় ধর্মীয় উৎসব হলো দুটি ঈদ, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। ঈদুল ফিতরকে রোজার ঈদ ও ঈদুল আযহাকে কোরবানি ঈদ বলে, আর কোরবানি ঈদ উপলক্ষে মানুষ আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সাধ্যমতো পশু কোরবানি করে থাকেন।
সে কারণে সারা বাংলাদেশের মতো, মানিকগঞ্জ বসেছে পশু বিক্রির হাট। মানিকগঞ্জ জেলার সাতটি উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ২০ টি গরুর হাট বসেছে।
এসব হাট গুলোতে আমাদের গ্রামের খামারিরা তাদের লালন-পালন করা গরু, ছাগল ও ভেড়া বিক্রির করার জন্য নিয়ে আসে।
মানিকগঞ্জ জেলার মাঝে নাম করা কিছু হাট হলো, ১) হরগজ হাট, ২) এমপি স্বপ্ন হাট, ৩) বাংলাদেশ হাট, ৪) তিল্লি হাট, ৫) আরিচা হাট ৬) গাজী খালি হাট, ৭) ঝিটকার হাট, ৮) সিংগাইর কলেজ হাট, এছাড়াও হরিরামপুর ও দৌলতপুর উপজেলার কিছু হাট বসে
উক্ত হাট গুলিতে পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও সেনাবাহিনী ও আর্নসার মোতায়ন করা হয়েছে।
এছাড়াও ক্রেতা ও বিক্রেতার সার্বিক সহায়তা জন্য, প্রতিটি হাটে নিরাপত্তা, জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন ও পশু চিকিৎসা সেবা রয়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলায় প্রায় ৭৭ হাজারেরও বেশি গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়।যার মধ্যে ৪৩ হাজারেরও বেশি গরু রয়েছে। কোন কোন হাটে ঈদের আগে উট ও আসতে পারে। এছাড়া, অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও গরু বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আনহাদ এগ্রো গরুর হাট, ভালুকা মিট ফার্ম, নামক ফেসবুক পেজে গরুর ছবি, বর্ণনা ও দাম উল্লেখ করে অনলাইনে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছে।
তবে ঢাকার সাথে, বাংলাদেশের সব চাইতে বড় গরুর হাটে মানিকগঞ্জ জেলা সহ বিভিন্ন জেলার মানুষ গরু নিয়ে গাপতোলি হাটে যায়।