
পরিচালিত রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র কায়হান ইরানের সুপ্রিম লিডার আলি খামেনির মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত ইসলামিক বিপ্লবী সংবাদপত্র কায়হান শনিবার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হত্যার জন্য উস্কানি দিয়েছে।
কায়হান পত্রিকায় প্রকাশিত একটি পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, “সে লাইন ছাড়িয়ে গেছে! যে কোনও দিন এখন, শহীদ সোলেইমানির রক্তের প্রতিশোধ হিসেবে, তার খালি মাথায় কয়েকটি গুলি চালানো হবে এবং সে অভিশপ্ত মৃত্যুর কাপ পান করবে।”
২০২০ সালের জানুয়ারিতে ট্রাম্পের আদেশে আমেরিকা একটি ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করে। এর পর থেকেই ইরান ট্রাম্পসহ সাবেক প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।
কায়হান পত্রিকা আরও বলেছে, “ট্রাম্প হুমকি দেয় এবং তারপর পিছিয়ে যায়! এর ফলে, আমেরিকার পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। গতকালই জানানো হয়েছে যে, তার পদক্ষেপের কারণে আমেরিকার অর্থনীতিতে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে।”
ইউনাইটেড অ্যাগেইনস্ট নিউক্লিয়ার ইরানের (UANI) নীতি পরিচালক জেসন ব্রডস্কি ফক্স নিউজ ডিজিটালকে বলেন, “কায়হান বহু বছর ধরেই ট্রাম্পের হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। কায়হানের সম্পাদক হোসেইন শরিয়াতমাদারি ইরানের সুপ্রিম লিডারের ব্যক্তিগত প্রতিনিধি।”
তিনি আরও বলেন, “এমন হুমকির মধ্যে ইরানের কর্মকর্তাদের আমেরিকার সঙ্গে ভবিষ্যৎ আলোচনা সম্পর্কে ‘পারস্পরিক সম্মান’ দাবি করা হাস্যকর।”
ইরানী বিশ্লেষক বেনি সাবটি বলেছেন, ইরানী শাসকরা ট্রাম্পকে হত্যার মাধ্যমে বিশ্বের সামনে তার বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছে এবং তাদের অর্থনৈতিক সমস্যা বাড়ানোর সুযোগও তৈরি করছে। সাবটি একে সালমান রুশদির হত্যাচেষ্টার মতো উল্লেখ করেছেন, যা ২০০২ সালে ইরানী প্রচারণার প্রভাবে ঘটেছিল।
গত নভেম্বরে ফক্স নিউজ ডিজিটাল জানিয়েছিল যে, আমেরিকা আইন বিভাগের কর্মকর্তারা ইরানের একটি হত্যার ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করেছে, যা ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের আগের কয়েক সপ্তাহে সংঘটিত হতে চলেছিল।
এদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সম্প্রতি বলেছেন, “আমরা আলোচনা থেকে বিরত নই; তবে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে সমস্যাগুলি সৃষ্টি হয়েছে।”
এই ধরনের হুমকির পর আমেরিকার প্রশাসন ইরানী শাসনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলছে, এবং কায়হান ও শরিয়াতমাদারি বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে মতামত প্রদান করেছে।