
এপ্রিল ৭.২০২৫। ]আলজাজীরা] – গাজার খান ইউনিসে সোমবার একটি ইসরায়েলি বিমান হামলা মিডিয়া তাঁবুকে আঘাত হেনেছে, যাতে অন্তত দুই জন নিহত হয়েছেন এবং কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। স্থানীয় মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, হামলাটি ঘটে নাসের হাসপাতালের কাছে রাত ২টার দিকে, এবং হামলা শেষে তাঁবুটি পুড়ে যায়। নিহতদের মধ্যে একজন সাংবাদিক, হেলমি আল-ফাকাওয়ি, এবং আরেকজন ব্যক্তির নাম ইউসেফ আল-খাজিন্দার হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।
কুদস নিউজ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অনলাইনে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায় যে তাঁবুটি আগুনে পুড়ছে এবং কিছু মানুষ ওই এলাকা থেকে আগুন নিভানোর চেষ্টা করছে। হামলায় নয়জন আহত হন, তাদের মধ্যে ছয়জন সাংবাদিক, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
আহত সাংবাদিকদের মধ্যে হাসান এসলাইহ এবং ইহাব আল-বারদিনি হাসপাতালে শয্যাশায়ী। আল-বারদিনির মাথায় শেপনেল লেগেছে, যা চোখ দিয়ে বের হয়ে গেছে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাংবাদিক আহমদ মানসুরের অবস্থা গুরুতর, তিনি “ভয়ঙ্কর পোড়া”তে আক্রান্ত হয়েছেন।
এ হামলার একদিন আগে সাংবাদিক ইসলাম মেকদাদ এবং তার স্বামী ও শিশুর মৃত্যু হয়, যা গাজায় মিডিয়া প্রতিনিধিদের মধ্যে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়িয়েছে।
ওয়াটসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের “কস্টস অব ওয়ার” প্রকল্প অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলের এই যুদ্ধটি মিডিয়া কর্মীদের জন্য “সবচেয়ে বিপজ্জনক” এবং এখন পর্যন্ত সবচেয়ে প্রাণঘাতী যুদ্ধ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির রিপোর্ট অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া হামলার পর থেকে ২৩২ জন সাংবাদিক এবং মিডিয়া কর্মী নিহত হয়েছে।
প্রতিবেদনটি জানিয়েছে যে, গাজায় প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১৩ জন সাংবাদিক নিহত হচ্ছে, এবং এসব মৃত্যু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ভিয়েতনাম যুদ্ধ, ইয়ুগোশ্লাভিয়া যুদ্ধ এবং আফগানিস্তান যুদ্ধে নিহত সাংবাদিকদের সংখ্যা মিলিয়ে বেশি।